প্যানগং সো লেকের খুবই কাছে গড়ে উঠেছে আস্ত এক চিনা জনপদ। তবে এই জনপদকে শহর বা গ্রাম নয়, বরং সামরিক ঘাঁটি হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা। দাবি করা হচ্ছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার থেকে ৩৬ কিলোমিটার দূরেই এই ঘাঁটি তৈরি হয়েছে মাত্র গত ২ বছরে। এনডিটিভির রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনের এত বড় ঘাঁটি আর নেই। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, লাদাখে ভারত নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে পূর্ব দিকে ৩৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চিনা এই ঘাঁটি। এদিকে প্যানগং লেকে যে চিন নতুন সেতুটি নির্মাণ করেছে, তার থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে গড়ে উঠেছে এই ঘাঁটি। সাম্প্রতিককালে এই ঘাঁটিতে নির্মাণাজের তোড়জোড় বেড়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে এই ঘাঁটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে বলে দাবি করা হয় এডিটিভি রিপোর্টে। (আরও পড়ুন: 'SC যে জানে না, এমন নয়… তাই সন্দেহ', বকেয়া ডিএ শুনানি নিয়ে বিস্ফোরক মামলাকারী)
আরও পড়ুন: কেন ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরল কানাডার? আরও গুরুতর অভিযোগ খোদ ট্রুডোর
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের লক্ষ্মীলাভ, বোনাস নিয়ে জারি বড় নির্দেশিকা, জানুন বিশদ
ম্যাক্সার টেকনোলজিসের উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, দু'বছর আগে সেই এলাকায় একটিও বিল্ডিং ছিল না। তবে এখন সেই ঘাঁটিতে ৭০টি বিল্ডিং তৈরি হয়ে গিয়েছে সেখানে। এই বিল্ডিংগুলির প্রতিটিতেই ৬ থেকে ৮ জন করে থাকতে পারেন অনায়াসে। অথবা ১০ টন করে সরঞ্জাম মজুত করে রাখা যায় সেই সব বিল্ডিংয়ে। দাবি করা হচ্ছে, চিনা ঘাঁটিতে তৈরি হওয়া বিল্ডিংগুলি বেশ পোক্ত। মিসাইল হামলা হলে তা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে সেই বিল্ডিংগুলি কার্যকরী হতে পারে। এদিকে বর্তমানে সেই অঞ্চলে চিনের আরও যে সকল নির্মাণকাজ চলছে, সেখানে নিযুক্ত কর্মীদের থাকা খাওয়ার জন্যে আপাতত এই ঘাঁটি ব্যবহার করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: 'অশান্তি ছড়াতে পারে', ডাক্তারদের দ্রোহের কার্নিভাল ঠেকাতে কড়া নির্দেশ পুলিশের)
আরও পড়ুন: সত্যি পান্নুন খুনের ছকে জড়িত এক ভারতীয়? এবার আমেরিকায় ভারতীয় তদন্তকারী দল
আরও পড়ুন: 'এখানে কেউ চকোলেট-স্যান্ডউইচ খেয়ে অনশন করছে না', কাকে খোঁচা ডঃ দেবাশিস হালদারের?
এদিকে এই ঘাঁটি নিয়ে নর্দার্ন কমান্ডের প্রাক্তন প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডিএস হুডা এই প্রসঙ্গে বলেন, 'এই ঘাঁটি প্রসঙ্গে চিন দাবি করতে পারে যে তাদের নাগরিকদের জন্যে এই বসতি তৈরি করা হচ্ছে। তবে এটা স্পষ্ট যে সামরিক ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যাবে এই বিল্ডিংগুলি।' এদিকে এই ধরনের বসতি তৈরি করে চিন কূটনৈতিক ভাবে ভারতের ওপর পালটা চাপ তৈরি করতে পারে বলে মত প্রাক্তন সেনা কর্তার। তাঁর বক্তব্য, ২০০৫ সালের চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশই সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী সাধারণ মানুষদের রক্ষা করবে। এদিকে এই এলাকায় আগে কোনও মানুষ থাকত না এবং এই এলাকার ওপরে ভারতের দাবি রয়েছে। তবে এখন সেখানে বসতি স্থাপন করে সেই এলাকার ওপরে নিজেদের দাবি জোরালো করছে চিন।