১৯৬২ সালে ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রাণ হারানো চিনা সৈনিকদের জন্য় কবরস্থান সংস্কারের কাজ শুরু হল। গতবছর গালওয়ান সংঘর্ষে মৃত চিনা সৈনিকদের দেহও শায়িত করা হয়েছে ওখানে। পাহাড়ের উপর করা এই সামরিক কবরস্থানকে দেশপ্রেমের পীঠস্থান হিসাবে গণ্য করছে চিন। পিপলস লিবারেশন আর্মির পোর্টালে উল্লেখ করা হয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি অফ চায়না এই কবরস্থানকে শিক্ষার পীঠস্থান হিসাবেও উল্লেখ করতে চাইছে। এদিকে সূত্রের খবর গত জুলাই মাসে এক চিনা পর্যটক তথা ব্লগার এই কবরস্থানে কোনওভাবে ঢুকে পড়েছিলেন। এরপর হাসিমুখে সেলফি তুলে অনলাইনে পোস্ট করেন। এরপরই চিনে একেবারে শোরগোল পড়ে যায়। আর তারপর থেকেই চিন এই কবরস্থান সংস্কারের ব্যাপারে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে।
এদিকে চিনের কমিউনিস্ট পার্টির ১০০ বছর উপলক্ষ্যে চিন চাইছে দেশবাসীর মধ্য়ে, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যাতে দেশপ্রেমের উন্মেষ ঘটে। আর তার নিরিখেই এবার সেনাদের শহিদবেদিতে সংস্কারের সিদ্ধান্ত। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের পরিসংখ্যান অনুসার এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪৭০টি ক্ষেত্রে চিনের এই ধরনের স্থান রয়েছে। Kangxiwar Martyrs' Cemetery টি কারাকোরাম পর্বতের উপর প্রায় ১৪ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে এটি রয়েছে। ১৯৬২ সালের মৃত চিনা সৈনিকদের স্মরণে ১৯৬৫ সালে এটি তৈরি করা হয়েছিল। এখানে ১০৮ জন চিন সৈনিকের কবরস্থান রয়েছে। তাঁদের মধ্যে চারজন গালওয়ানের সংঘর্ষে মারা গিয়েছিলেন। তবে একাধিক সৈনিকের দেহ তাঁদের নিজেদের গ্রামে বা শহরে নিয়ে গিয়েছিলেন পরিজনরা।