আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য অনেক প্রক্রিয়া আছে। কিন্তু, তাই বলে কি একটি কোম্পানি কর্মীদের আত্মবিশ্বাস আগুনের মশাল মুখে ঢোকাতে বাধ্য করতে পারে! কর্মীদের সঙ্গে ঠিক এমনটাই করেছে চিনের একটি সংস্থা। বিষয়টি সামনে আসতেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে চিনের এই সংস্থাটি।কোম্পানিতে কর্মরত একজন কর্মী সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অস্বাভাবিক নয় চিনের অবস্থা, তবে সময়মতো তথ্য দিন! hMPV ভাইরাস নিয়ে হু'কে বলল ভারত
রংরং নামে ওই কর্মী দাবি করেছেন, সংস্থাটি কর্মীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এবং তাদের ভয় মোকাবেলায় সহায়তা করতে আগুনে মশাল মুখের ভিতরে ঢোকাতে বাধ্য করেছে। তিনি লিখেছেন, কীভাবে তাকে দল গঠনের লক্ষ্যে একটি অনুশীলনে আগুন মুখের ভিতরে ঢোকাতে বাধ্য করা হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, কোম্পানি মনে করত যে তার কর্মীদের মধ্যে আত্মসম্মান গড়ে তুলতে এবং সমস্ত ভয় কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে এই প্রথা।
রংরং আগুন খাওয়ার কার্যকলাপটিকে ভয়ঙ্কর বলে বর্ণনা করেছেন। কারণ তার মুখেও একটি জ্বলন্ত মশাল ঢোকানো হয়েছিল। তিনি তার ভয় সত্ত্বেও সেটা করেছিলেন। কারণ না পারলে চাকরি হারানোর ভয় ছিল। ফলে এটি করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। ওই কর্মী এই ধরনের অভিজ্ঞতাকে অপমানজনক বলে মন্তব্য করেছেন।
কর্মী আরও জোর দিয়েছিলেন, যে আগুন মুখের ভিতরে ভরে অনিরাপদ। এর জন্য বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষণ এবং পদ্ধতি জানা প্রয়োজন। রংরং পোস্টে আরও লিখেছেন যে আগুন খাওয়া তার কোম্পানির বিশেষত্ব নয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, পূর্ব চিন রেনঝং-এ অবস্থিত একটি টিম-বিল্ডিং কোম্পানি আগুন খাওয়ার প্রশিক্ষণ দেয়। তাদের ওয়েবসাইট ক্রিয়াকলাপে অংশগ্রহণকারীদের জন্য অগ্নি নিরাপত্তা উপাদান সহ সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণ এবং সরঞ্জাম সরবরাহ করে থাকে। ফলে এটা বিপজ্জনক বলেই দাবি করেছেন কর্মী।
তিনি আরও দাবি করেছেন, ৬০ জন কর্মীকে এই নিয়ম মানতে জোর করেছে কোম্পানি। যাঁরা আগ্রহ দেখিয়েছেন, তাঁদের প্রতি এখনও পর্যন্ত সন্তুষ্ট কোম্পানিটি। এই পোস্ট ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। টিকটকের চিনা সংস্করণে ক্ষোভ এবং নিন্দার ঝড় উঠেছে। অনেকে বলেছেন, চিনে শ্রম আইন এখনও অনেক পিছিয়ে রয়েছে। অনেকের বক্তব্য এটি শ্রম আইনের বিরোধী। আগুন নিয়ে যেভাবে কর্মীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে তার তীব্র নিন্দা করা হচ্ছে চিনের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। থানায় অভিযোগ জানাতে ইচ্ছুক বলেও জানিয়েছেন তিনি।