কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে এই করোনা টিকাকে সবুজ সংকেত দিতে দীর্ঘ সময় নিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। অভিযোগ ওঠে, ভারতীয় টিকাকে সবুজ সংকেত দেওয়ার ক্ষেত্রে চিনের করোনা টিকা থেকে বেশি সময় নেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যদিও এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিল হু। এমন কি দাবি করা হয়েছিল, ভারতীয় কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দিতে সর্বোচ্চ সময় লাগায় হু। সংস্থার মুখ্য বিজ্ঞানী ডঃ সৌম্য স্বামীনাথন এই সব অভিযোগের সত্যতার বিষয়ে বিশদে জানান সংবাদমাধ্যমকে।
ডঃ স্বামীনাথন বলেছেন যে গড়ে, ভ্যাকসিনগুলিকে জরুরী ব্যবহারের তালিকা অনুমোদন দিতে ৫০ থেকে ৬০ দিন সময় নেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে কয়েকটি টিকাকে অনুমোদন দিতে ১৬৫ দিন পর্যন্ত সময় লেগেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, চিনে তৈরি সিনোফার্ম এবং সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনগুলিকে অনুমোদন দিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৫০ থেকে ১৬৫ দিন সময় নেয়।
ডঃ স্বামীনাথন বলেন, 'কোভ্যাক্সিনকে অনুমোদন দিতে সবথেকে বেশি সময় নেয়নি হু। কোভ্যাক্সিন মাঝখানে (যতদিনে এটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে) কোথাও আছে, এটি ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে কোথাও লেগেছে। কমিটি আজ আবার মিলিত হয়েছে এবং খুব সন্তুষ্ট ছিল।'
কোভ্যাক্সিন ভারতের নিজস্ব ভ্যাকসিন। গত জানুয়ারিতেই এই টিকার জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের ছাড়পত্র দেয় ডিসিজিআই। কিন্তু এই টিকাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছাড়পত্র না দেওয়ায় অনেক সমস্যাও তৈরি হচ্ছিল। বিশেষ করে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রেই তৈরি হচ্ছিল এই ধরনের সমস্যা। তাই ছাড়পত্র আনতে গত জুলাই থেকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে দফা দফায় বৈঠক করছিল ভারত বায়োটেক। তারপর শেষ পর্যন্ত গতকাল কোভ্যাক্সিনকে অনুমোদন দেয় হু।