লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারেই নাকি নতুন দু'টি কাউন্টি তৈরি করছে চিন। এদিকে চিন যে দুটি নতুন কাউন্টি তৈরি করতে চলেছে, তার মধ্যে কয়েকটি লাদাখেও পড়েছে বলে শুক্রবার সংসদে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে এর কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে নয়াদিল্লি। লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে বিদেশমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, ওই অঞ্চলে চিনের বেআইনি দখলদারিত্ব ভারত সরকার কখনও মেনে নেয়নি। নতুন দেশ গঠন এই অঞ্চলের ওপর ভারতের সার্বভৌমত্ব সম্পর্কে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী অবস্থানকে প্রভাবিত করবে না এবং চিনের অবৈধ ও জোরপূর্বক দখলদারিত্বকেও বৈধতা দেবে না। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশি সেনার ওপর হামলার নিদান, তারপরই ক্ষমা চেয়ে ‘পথে’ ফিরলেন সমন্বয়ক)
আরও পড়ুন: 'ভারত আমাদের কাছে টানে…', নিজের দেশকে কাঠগড়ায় তুললেন প্রাক্তন পাক বিদেশমন্ত্রী?
কীর্তি বর্ধন সিং বলেছেন, সরকার কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। উল্লেখ্য, বিদেশ মন্ত্রকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত হোতান প্রদেশে (চিনের দখলে এখন) চিন যে দুটি নতুন কাউন্টি তৈরি করেছে, সে সম্পর্কে সরকার অবগত কিনা। যদি তারা অবগত হয়ে থাকে, তাহলে সরকার এই সমস্যা সমাধানের জন্য কোন কৌশলগত ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে? এই বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, 'চিনের হোতান প্রদেশে দু'টি নতুন কাউন্টি স্থাপনের বিষয়ে চিনের ঘোষণার বিষয়ে ভারত সরকার অবগত। এই তথাকথিত কাউন্টিগুলির এক্তিয়ারের কিছু অংশ ভারতের লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে পড়ে।' (আরও পড়ুন: ইউনুসে 'না' বাংলাদেশি সেনা প্রধান ওয়াকারের... বিস্ফোরক উপদেষ্টা আসিফ)
আরও পড়ুন: এবার ইউনুসের বিরুদ্ধে 'বিদ্রোহ' মাহফুজ আলমের? বাংলাদেশি উপদেষ্টা বললেন...
চিন যে সীমান্ত এলাকায় পরিকাঠামো গড়ে তুলছে, তা সরকারও জানে বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, সরকার সীমান্ত এলাকার উন্নয়নের জন্য অবকাঠামো উন্নয়নে সতর্ক ও বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে, যাতে এসব এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। একই সঙ্গে ভারতের কৌশলগত ও নিরাপত্তার চাহিদাও পূরণ করা যেতে পারে। অন্যদিকে, বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে যে এই বছর কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করতে সম্মত হয়েছে, তবে তার পদ্ধতি এখনও স্থির করা হয়নি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল তীর্থযাত্রা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে এই মন্তব্য করেছেন। গত বছর অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠকের পর থেকে ভারত ও চিনের মধ্যে বিভিন্ন স্তরে যে গঠনমূলক বিনিময় হয়েছে তারও উল্লেখ করেন তিনি।