লাদাখ সীমান্ত ঘিরে বহু দিন ধরেই চিন ও ভারত দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের বাতাবরণ দেখা গিয়েছে। দীর্ঘ পর্ব পার করে দুই দেশ বসেছে আলোচনার টেবিলে। উল্লেখ্য, দুই দেশের মধ্যে সংঘাত মিটিয়ে শান্তি পূর্ণ সহাবস্থানের লক্ষ্যে একাধিক স্তরে আলোচনা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাম্প্রতিককালে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক মুখ খুলেছে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে।
মার্চের ১১ তারিখে সেনা পর্যায়ের বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে ভারত ও তিনের মধ্যে। সেই আলোচনা পর্বকে 'ইতিবাচক' ও 'গঠনমূলক' তকমা দিয়েছে চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রক। পাশাপাশি তারা জানিয়েছে, দুই দেশই যাবতীয় সমস্যা মিটিয়ে নিতে একে অপরের সঙ্গে আলোচনার রাস্তায় রাজি। তবে সেক্ষেত্রে কোনও তৃতীয় পক্ষের নাক গলানোকে বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বেজিং। চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের মুখপাত্র ইউ কুইয়ান বলেন, 'চিন ও ভারতের দুই পক্ষই সীমান্ত ইস্যুকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে চলার ক্ষেত্রে আলোচনা ও সমঝোতার পথে চলার বিষয়ে সহমত। স্পষ্টভাবে তৃতীয়পক্ষের হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করা হয়েছে।' উল্লেখ্য, সম্প্রতি মার্কিন ইন্দো পেসিফিক নিরাপত্তা বিষয়ক সচিব এলি ব়্যান্টার ভারত-চিন সীমান্ত প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। তিনি বলেছিলেন, সীমান্ত বিষয়ে চিনের তরফ থেকে ভারত প্রভূত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। যে দিকে নজর রেখেছে আমেরিকা। এরপরই সীমান্ত বিষয়ে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক কার্যত তাদের কড়া অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, মার্চের ১১ তারিখে ভারত ও চিনের মধ্যে বৈঠকের পরই ব়্যান্টারের বক্তব্য সামনে আসে। বেজিং জানিয়েছে, দুই দেশই শান্তি ও সহাবস্থানের পক্ষে আলোচনা চালাচ্ছে। যাতে চিন ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত হয়, সেদিকে খেয়াল রেখেই চলছে আলোচনা। উ এই বিষয়ে বলেন, 'যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাকি সমস্যাগুলির ক্ষেত্রেও সম্ভাব্য সমাধানে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।' প্রসঙ্গত, গত ২ বছর ধরে একাধিকবার বিভিন্ন আলোচনা পর্বের পরও সীমান্ত ইস্যুতে চিন ও ভারত কোনও সমাধান সূত্রে পৌঁছতে পারেনি। যদিও সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে একাধিক সাফল্য দেখা গিয়েছে। গালওয়ান উপত্যকা, প্যানগংয়ে ডিসএনগেজমেন্ট দেখা গিয়েছে। হট স্প্রিংয়ের ক্ষেত্রেও এসেছে সাফল্য। তবে লাদাখ নিয়ে স্থায়ী শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে আলোচনা পর্বের দিকে তাকিয়ে রয়েছে দুই দেশের কূটনৈতিক মহল।