ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ কি বলল? ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে রাশিয়ায় নরেন্দ্র মোদী ও শি জিনপিং মুখোমুখি বসার পর এই লাখ টাকার প্রশ্নের উত্তর ঘিরে রয়েছে নানান জল্পনা। এদিকে, বেশ কিছু রিপোর্টের দাবি, লাদাখে সংঘাতের জায়গা থেকে সেনা সরানো সম্পন্ন করেছে ভারত ও চিন। এরই মাঝে দিওয়ালির উৎসবের আমেজে ভারতে অবস্থিত চিনের রাষ্ট্রদূত জু ফেইহং বলেন, তিনি তাকিয়ে রয়েছেন ভারত ও চিনের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালুর দিকে।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিনের রাষ্ট্রদূত বলেন,' আমি তাকিয়ে আছি ভারত ও চিনের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হওয়ার দিকে, যাতে আমি বেজিং সরাসরি চলে যেতে পারি। ২০২০ সালের আগে আমাদের সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু ছিল। ফলে এটা সকলকে অনেকটাই সুবিধা দিতে পারে। এটা অনেক টাকাও বাঁচাবে।' উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে করোনার প্রকোপে গোটা বিশ্বে ত্রাস তৈরি হয়। সেই সময় চিনের উহানের নাম প্রকাশ্যে আসে। সেই সময় থেকেই চিন থেকে সরাসরি ভারতে আসা বিমান পরিষেবা স্থগিত রাখে দিল্লি। পরবর্তী কালে ২০২০ সালের মে মাসে ভারতে আগ্রাসন দেখায় চিন। লাদাখ ঘিরে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে যায়। এরপর সদ্য দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নানান ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে যায়। পরবর্তীকালে সদ্য রাশিয়ায় ভারত ও চিনের রাষ্ট্রনেতাদের সাক্ষাতের পরই লাদাখে ডেপসাং ও ডেমচকের মতো সংঘাতে জায়গা থেকে সেনা সরিয়ে নেয় দুই দেশ।
গত মাসেই ভারতে অবস্থিত চিনের রাষ্ট্রদূত জু বলেন, বেজিং আশা করে দিল্লি এবার চিন ও ভারতের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করবে। সঙ্গে চিনের নাগরিকদের জন্য ভিসা সহজতর করে অনুমোদনের দিকটিও ভেবে দেখবে। রাষ্ট্রদূত বলেন,' আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিক্ষা ও সংস্কৃতি এবং পর্যটনে ভারতের সাথে বিনিময় ও সহযোগিতা অগ্রসর করতে ইচ্ছুক। আমরা সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু এবং চিনা নাগরিকদের জন্য ভিসা সহজতর করার ক্ষেত্রেও ইতিবাচক পদক্ষেপ আশা করি।'