ফের একবার তাইওয়ানকে চোখ রাঙাতে সেদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করল চিন। তবে জানা গিয়েছে, এবার চিনকে যোগ্য জবাব দেওয়া হয় তাইওয়ানের তরফেও। রিপোর্ট অনুযায়ী, শনিবার চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ার ফোর্সের (পিএলএএএফ) দুটি রাশিয়ান তৈরি সুখোই যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। চিনা ফাইটার জেট আকাশসীমায় প্রবেশ করার পরই তাইওয়ানের সেনাবাহিনী সতর্ক হয়ে ওঠে এবং তাদের জবাব দিতে তাদের দুটি যুদ্ধবিমান পাঠায়। পাশাপাশি তাইওয়ানের সেনাবাহিনীও রেডিও সতর্কতা জারি করে।
তাইওয়ানের আকাশসীমায় চিনের বিমান অনুপ্রবেশ করে শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৫৩ মিনিটে এবং স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৩ মিনিটে। জানা যায়, তাইওয়ানের যুদ্ধবিমান দেখতে পেয়েই সেদেশের আকাশসীমা থেকে ফিরে আসে চিনা যুদ্ধবিমানগুলি। তাইওয়ান চিনা ফাইটার জেটগুলিকে ট্র্যাক করার জন্য এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমও মোতায়েন করেছে। এদিকে চিনের দুটি বিমানই তাইওয়ানের আকাশসীমার দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ডংশা দ্বীপের উত্তর-পূর্বে ৯৮০০ মিটার উচ্চতায় ছিল। উল্লেখ্য, গতবছর থেকেই তাইওয়ানের আকাশসীমায় চিনা যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশের ঘটনা ধারাবাহিক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। এর আগেও বহুবার এমন কাজ করেছে চিন।
আরও পড়ুন: PNB ছাড়া আরও সংস্থাকে ঠকিয়েছে মেহুল চোকসি! পলাতক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে নয়া মামলা CBI-এর
সাম্প্রতিককালে চিন বারবার তাইওয়ানে হামলার হুমকি দিয়ে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে দক্ষিণ চিন সাগরে যুদ্ধের সম্ভাবনা বেড়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। অন্যদিকে, আরেকটি যুক্তি দেওয়া হচ্ছে যে ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষেত্রে চিনা সামরিক গুপ্তচরদের ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে চিন সতর্কতা অবলম্বন করতে এই কাজ করছে। গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বের অনেক দেশের থেকে তাইওয়ান সমর্থন পাচ্ছে। প্রসঙ্গত, তাইওয়ানকে চিন নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবেই মনে করে। তবে তাইওয়ানের মানুষের মধ্যে সচেতনতা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে এই বিষয়ে। গণতন্ত্রের স্বাদ পেয়ে সেদেশে চিনের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এটি চিনের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।