নিজেদের সেই অর্থে সমুদ্রে দাপিয়ে বেরানোর শক্তি নেই। তা সত্ত্বেও আমেরিকার এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ার ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ চিনের। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির মদতপুষ্ট 'থিঙ্ক-ট্যাঙ্কে'র বিশেষজ্ঞরা মার্কিন যুদ্ধবিমানের ভেঙে পড়ার ঘটনায় দাবি করেছে যে মার্কিন সেনা দক্ষিণ চিন সাগরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। চিনের মিডিয়াতেও ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে এহেন মন্তব্য। তবে এদিকে চিনের মিডিয়া ও বিশেজ্ঞরা আমেরিকাকে কটাক্ষ করলেও সেদেশের নিজের নৌবহর নেই। আক আমেরিকা গত ১০০ বছর ধরে ৭০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান বাহক জাহাজ নিয়ে দাপিয়ে বেরিয়েছে বিশ্বের প্রায় সব জলসীমায়।
গত ২৪ জানুয়ারি মার্কিন যুদ্ধবিমান বাহক জাহাজ ইউএসএস কার্ল ভিনসনে অবতরণ করার সময় ভেঙে পড়েছিল এফ-৩৫ বিমানটি। রুটিন অপারেশনের সময়ই ওই যুদ্ধবিমানটি ভেঙে পড়ে। তবে এভাবে যুদ্ধবিমানটির ভেঙে পড়ার নেপথ্যে আসল কারণ সম্পর্কে এখনও মুখ খোলেনি পেন্টাগন। ঘটনায় ৭ জন আহত হন বলে জানা যায়। এই ঘটনায় যুদ্ধবিমানের চালককে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় আমেরিকা। পাশাপাশি দ্রুত তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সমুদ্র থেকে যুদ্ধবিমানের সব ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করছে আমেরিকা। যাতে চিন তাদের প্রযুক্তি চুরি না করতে পারে।
প্রসঙ্গত, ইউএসএস কার্ল ভিনসন ও ইউএসএস অ্যাব্রাহাম লিঙ্কন এই দুই মার্কিন এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার গত কয়েকদিন ধরে অবস্থান করছে দক্ষিণ চিন সাগরে। মার্কিন নৌসেনা রবিবার দক্ষিণ চিন সাগরে একটি প্রশিক্ষণমূলক মহড়া চালায়। তাইওয়ান নিয়ে চিন-আমেরিকার সংঘাত বাড়তেই এই অঞ্চলে মার্কিন নৌসেনার তত্পরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বিষয়টিকে ভালো নজরে নিচ্ছে না বেজিং। এই পরিস্থিতিতে চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি পাল্টা তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের দেশে আমেরিকাকে 'দুর্বল' প্রতিপন্ন করতে চাইছে চিন। উল্লেখ্য, এর আগে বিভিন্ন সময়ে ভারতের সেনাকেও 'দুর্বল' আখ্যা দিয়ে এসেছে চিন। তবে ভারত নিজে ১৯৬১ সাল থেকে যুদ্ধবিমান বাহক জাহাজ ব্যবহার করে এসেছে। ১৯৭১ সালে এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ারের সাহায্যে সফল ভাবে করাচি বন্দর ব্লক করে রেখেছিল ভারত। এদিকে চিনের প্রথম এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার কমিশন করা হয় ২০১৬ সালে। তবে সেটি আদৌ কতটা কাজ করতে সক্ষম, তা কেউই জানে না। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন নৌবহরের শক্তি নিয়ে প্রশ্ন করে চিন নিজেরাই হাসির পাত্র বনেছে আন্তর্জাতিক মহলে।