চিনের গানজাউ প্রদেশে বসবাস রয়েছে ১৯ মিলিয়ন মানুষের। আর সেখানেই নতুন করে কোভিডের এপিসেন্টার চিহ্নিত হয়েছে। ফলে স্বভাবতই কোভিড ঘিরে নতুন বিধি নিষেধ লাগু হয়েছে। আর তার জেরেই কার্যত প্রচণ্ড বিরক্তি উগরে দিচ্ছেন চিনের বাসিন্দারা। এক বিশেষ শব্দে তাঁরা চিনের এক পরিস্থিতিকে বর্ণনা করছেন।
গানজাউ এলাকায় কোভিড বাড়তে থাকায় সেখানে লকডাউন ঘোষিত হয়েছে। আর তা নিয়ে বিরক্ত উগরে দিয়ে চিনের বাসিন্দারা সেখানের সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ওইবোতে লিখছেন, ‘এপ্রিল মাসে আমাদের লকডাউনে থাকতে হয়েছে, আবার নভেম্বরে তা হচ্ছে।’ অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এভাবে লকডাউনের জেরে কেন সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে না? অনেকের কাছেই আর্থিক দিক একটি বড় প্রশ্ন। এই গোটা পরিস্থিতিকে অনেকেই ‘গো টু হেল’ বলে ব্যাখ্যা করছেন। আবার অনেকে বলছেন, ‘স্পাউটিং ননসেন্স’। চিনে এভাবে কোভিড নিয়ে জিরো কোভিড বিধি লাগু হতেই সেখানে ‘স্ন্যাপ লকডাউন’ সঙ্গে বিশাল পরিসরে কোভিড টেস্টিং শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে কনট্যাক্ট ট্রেসিং। যা নিয়ে বিরক্ত শহরবাসী।
উল্লেখ্য, চিনের সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের সমালোচনাধর্মী বিভিন্ন পোস্ট এই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ রয়েছে নেটিজেনদের মধ্যে। উল্লেখ্য, চিনের সোশ্যাল মিডিয়া খুবই সেন্সরের মধ্যে রাখা হয়। ফলে বহু ধরনের গোপনীয়তা এতে বজায় থাকে। এদিকে, দক্ষিণ চিনে এমন লকডাউনের ডেরে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন মানুষ। দেখা যাচ্ছে শি জিনপিংয়ের কোভিড নীতির জেরে চিনের এই দক্ষিণ প্রান্ত থেকেই বহু ধরনের বিরোধিতামূলক পোস্ট উঠে এসেছে। এমনই দাবি সংবাদসংস্থা সিএনএনের। দেখা যাচ্ছে, চিনের স্থানীয় ভাষা ক্যান্টনিজে লেখা রয়েছে এই পোস্টগুলি। ফলে তা যে বেজিংকে উদ্দেশ্য করেই লেখা তা বলাই বাহুল্য।