Pakistan China News: চিন-পাকিস্তান বন্ধুত্বই সার। পাকিস্তানের মাটিতে বুলেটপ্রুফ গাড়িই ভরসা চিনা শ্রমিকদের। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের (CPEC) মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। আর সেখানে এমনই গাড়িতেই যাতায়াত করবেন দুই দেশেরই শ্রমিকরা। CPEC-র একাদশতম যৌথ সহযোগিতা কমিটির কার্যবিবরণীর খসড়ায় এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, 'প্রকল্পে যুক্ত চিনা নাগরিকদের বাইরে যাওয়ার সময়ে বুলেটপ্রুফ যানবাহন ব্যবহার করা হবে।' আরও পড়ুন: CPEC: অর্থনৈতিক করিডর নিয়ে যৌথ বিবৃতি চিন-পাকিস্তানের, কড়া বার্তা দিল ভারত
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, পাকিস্তান ও চিন চলতি সপ্তাহের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের দুই দিনের বেইজিং সফরের সময় কিন্তু এই ১১তম জেসিসি কার্যবিবরণীতে স্বাক্ষর করেনি। প্রথম জেসিসির পরপরই কিন্তু কার্যবিবরণী স্বাক্ষরিত হয়েছিল। শর্তাবলী মেনে নিয়েছিল দুই পক্ষই। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বৈঠকের পর প্রকল্প মন্ত্রী আহসান ইকবাল জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময়েই এই কার্যবিবরণীতে স্বাক্ষর করা হবে। কিন্তু আদতে তা হয়নি।
কিন্তু কেন?
আহসান ইকবাল জানান, 'মাত্র ২৪ ঘণ্টার সফর। সেই কারণে জেসিসি-র কার্যবিবরণী সহ কিছু সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করা হয়নি। এইটুকু সময়েই পরপর প্রায় ১৭টি বৈঠক হয়েছে। আর সেই কারণে অন্য কিছুর জন্য সময় পাওয়া যায়নি।'
তিনি বলেন, খুব শীঘ্রই একটি প্রতিনিধি দল চিনে যাবে। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং তদন্তকারীদের ক্ষমতা জোরদার করতে উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে।
আরও পড়ুন: China Veto in UNSC: বছরে চতুর্থবার, ফের একবার UN-এর মঞ্চে পাক মদপুষ্ট জঙ্গির ঢাল হয়ে দাঁড়াল চিন
চিনা নাগরিকদের সঙ্গে জড়িত অপরাধের তদন্ত ত্বরান্বিত করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, জাতীয় ফরেনসিক সায়েন্স এজেন্সির (NFSA) আধুনিকিকরণ করা হবে। এদিকে চিনা দুষ্কৃতী ধরতেও চিনেরই সহায়তা চাইল পাকিস্তান। তাও আবার আর্থিক ও প্রযুক্তিগত। ইসলামাবাদে ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির সম্পূর্ণ আপগ্রেডেশনের জন্য চিনা সহায়তার অনুরোধ করা হয়েছে। খসড়া রিপোর্ট অনুযায়ী, চিন এই কাজে তার সম্পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে।
চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর ব্যবহার করা নিয়ে পাকিস্তান আর চিনের তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়া দিল্লি। ভারতের তরফে জানানো হয়েছে যোগাযোগের যে ব্যবস্থার কথা বলা হচ্ছে সেটা ভারতের অঞ্চলের মধ্যে পড়ছে। কিন্তু সেই অঞ্চলটি জোর করে দখলে রাখা হয়েছে।