দুই শক্তিধর রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানদের ঘিরে স্বভাবতই বিশ্বজোড়া কূটনৈতিক লাইমলাইট ছিল বালিতে। জি ২০ সামিটের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের এই সাক্ষাৎ আন্তর্জাতিক আঙিনাতে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ পরবর্তী ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ৩ ঘণ্টা ধরে চলা এই বৈঠকের শেষে দুই রাষ্ট্রনেতাই কার্যত ইউক্রেনের ওপর পরমাণু হুমকির নিন্দা করেছেন। যা কার্যত মার্কিন কূটনৈতিক সাফল্যের পাল্লাকে ভারী করছে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত ২০২১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্টের গদিতে জো বাইডেন অধিষ্ঠানের পর এই প্রথম বিশ্বের দুই শক্তিধর দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সাক্ষাৎ মুখোমুখি হল। এর আগে চিন ও আমেরিকার সম্পর্ক যে সোজা খাতে বইছিল না, তা বলাই বাহুল্য। এদিকে, একাধিক ইস্যুতে আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়। উঠে আসে তাইওয়ান থেকে উত্তর কোরিয়া প্রসঙ্গ।
প্রসঙ্গ তাইওয়ান
নিজের বক্তব্যে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, ‘বিশ্ব চায় যে আমেরিকা ও চিন একযোগে এগিয়ে যাক। বর্তমানে চিন ও আমেরিকার সম্পর্ক যেদিকে রয়েছে তাতে দুটি দেশ ও দেশবাসীর মৌলিক স্বার্থের হিতে তা নেই। ’ বৈঠক শেষে জানা গিয়েছে, তাইওয়ান প্রসঙ্গে চিন বেশ খানিকটা জোর দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, চিনের কেন্দ্রীয় ইস্যুগুলির মধ্যে পড়ে তাইওয়ান। চিন বলেছেন, ‘যে কেউই চিন থেকে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করবে, তাকে চিনের মৌলিক স্বার্থ লঙ্ঘনের সমান ধরা হবে। চিনের মানুষ তা হতে দেবে না।’
প্রসঙ্গ ইউক্রেন
উল্লেখ্য, বিশ্ব আঙিনায় রাশিয়ার সঙ্গে চিনের সখ্যতার ইতিবৃত্ত অনেকেরই জানা। সেই আঙ্গিকে সদ্য ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলা নিয়ে আমেরিকার তরফে এই বৈঠকের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, ‘ প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং প্রেসিডেন্ট শি তাদের চুক্তি পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন যে একটি পারমাণবিক যুদ্ধ কখনই করা উচিত নয়।’ এতে যে কারোর জিত নেই তাও তাঁরা ব্যাখ্যা করেছেন। দুই পক্ষই পরমাণু হামলার বিরোধিতায় সরব হয়েছেন।
প্রসঙ্গ উত্তর কোরিয়া
চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ‘ আমি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে এটা পরিষ্কার করে দিয়েছি যে আমি মনে করি উত্তর কোরিয়ার কাছে এটা পরিষ্কার করার চেষ্টা করা তাদের বাধ্যবাধকতা ছিল যে তাদের দীর্ঘ পরিসরের পারমাণবিক পরীক্ষায় জড়িত হওয়া উচিত নয়।’ কার্যত তিনি উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র ইস্যুতে চিনের ঘাড়েই বন্দুক রেখে কূটনৈতিক চালে এগিয়ে যেতে চেয়েছেন বলে মনে করছেন অনেকেই।