নিজস্ব স্পেস স্টেশন তৈরি করছে চিন। আর তার ফলে চাপে পড়ছে বাকি বিশ্ব। আরও একবার চিনা মহাকাশ সংস্থার রকেট কোথায় পড়বে, তাই নিয়ে টেনশনে গোটা পৃথিবী। মহাকাশে স্টেশন নির্মাণের জন্য প্রায় ২৩ টন ওজনের রকেট উৎক্ষেপণ করেছিল চিন। কিন্তু সেই অভিযান ব্যর্থ হয়। এরপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় সেই রকেট পৃথিবীর দিকে আছড়ে পড়ছে। রকেটটি মেংটিয়ান মডিউল নিয়ে স্পেস স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিনা বিজ্ঞানীরা রকেটটিকে কক্ষপথে স্থাপন করতে পারেননি। আর তারপরেই এই রকেট পৃথিবীর দিকে আছড়ে পড়ছে। গত সপ্তাহেই এই রকেটে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। আরও পড়ুন: Viral Video: চাঁদের অসাধারণ ভিডিয়ো বানালেন ফটোগ্রাফার! ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
চিনা সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চায়না ম্যানড স্পেস এজেন্সি (CSMA) এই লং মার্ট 5বি রকেটটি তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশন থেকে উৎক্ষেপণ করে। কিন্তু অভিযান ব্যর্থ হয়। এখন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রকেটটি বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময়েই জ্বলে নিঃশেষ হয়ে যাবে। তবে কিছু টুকরো মাটিতে পড়তে পারে, বলছেন তাঁরা। আর সেখানেই আশঙ্কার বিষয়। স্পেস ডট কম অ্যারোস্পেস কর্পোরেশনের কর্পোরেট চিফ ইঞ্জিনিয়ার অফিসের প্রধান, টেড মুয়েলহাউপ্ট বলেন, চিনের মহাকাশ অভিযানের এই ধ্বংসাবশেষ সমগ্র বিশ্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৮৮ শতাংশই বর্তমানে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। অর্থাত্ যে কোনও স্থানেই এসে পড়তে পারে এই মহাকাশ যান।
এই নিয়ে পরপর ২টি এমন ঘটনা
চলতি বছরের শুরুতেও একটি চিনা রকেটের ক্ষেত্রে এমনটাই হয়েছিল। উৎক্ষেপণের মাত্র ছয় দিন পর নিয়ন্ত্রণ চলে যায়। বিতর্কিত বিষয়টি হল, রকেটের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পরেও চিন সেই বিষয়ে কাউকে কিছুই জানায়নি। ভাবখানা এমন যেন, কিছুই হয়নি। তবে খবর পাঁচকান হতে বেশি সময় লাগেনি। পরে রকেটের কিছু অংশ ভারত মহাসাগরে এসে পড়ে।

আরও পড়ুন: Pillars of Creation: 'সৃষ্টির স্তম্ভে'র ছবি তুলল James Webb, ফের মুগ্ধ মানবজাতি
রকেটের যন্ত্রাংশ মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় এসে পড়েছিল। রকেটের বুস্টার এবং লঞ্চারের কিছু অংশ মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে এসে পড়ে। সৌভাগ্যবশত কোনও প্রাণহানি হয়নি।