লাদাখে ক্রমশই বাড়ছে ঠান্ডা। কিন্তু সীমান্ত অস্থিরতা কমার কোনও লক্ষণ নেই। ফলে নিজেদের জায়গায় ঠায় বসে আছেন দুই দেশের সেনা। ইতিমধ্য়েই ভারতীয় সেনার নজরে এসেছে যে চিনের মেডিক্যাল টিম প্যাংগং সো-এর উত্তরে স্ট্রেচারে করে কিছু সৈনিককে নিয়ে যাচ্ছে নিকটবর্তী হাসপাতালে। ভারতীয় সেনা সূত্রের মারফম এই খবর জেনেছে হিন্দুস্তান টাইমস।
পূর্ব লাদাখে যে কয়েক জায়গায় সম্মুখ সমরে ভারত ও চিন, তার মধ্যে অন্যতম হল ফিঙ্গার এরিয়া। সব মিলিয়ে পূর্ব লাদাখে দুই দেশই প্রায় এক লাখ সেনা ও অত্যাধুনিক অস্ত্র মজুত করে রেখেছে। প্যাংগং লেকের ধারে ফিংগার ৪-এ ভারতীয় সেনারা লাল ফৌজের থেকে কয়েকশো মিটার দূরে বসে আছে।
সেনা আধিকারিকরা মনে করেন, ঠান্ডা যত পড়বে এই উঁচু চুড়োয় বসে থাকা ভারতীয় ও চিনা সেনারা আরও সমস্যায় পড়বেন। হিমাঙ্কের নীচে ইতিমধ্যেই তাপমাত্রা চলে গিয়েছে ১৬-৭ হাজার ফিট উঁচু ওই পাহাড়ি চুড়োয়।
এক সেনা আধিকারিক জানান ওখানে যারা পোস্টেড হয়েছেন, তারা ইতিমধ্য়েই ওরকম তাপমাত্রায় থাকার বিষয় সড়গড় করা হয়েছে। কোনও আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ, পথ্য আছে বলেও সেনা সূত্রে জানা যাচছে। তার মতে এর থেকেও উঁচু সিয়াচেন যেখানে অবস্থিত ভারতীয় সেনা কিন্তু এখানে শুধু থাকতেই হবে না, প্রয়োজনে যুদ্ধ করতে হবে।
শীতের মরশুমে লাদাখে থাকার জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারত। আসছে বিশেষ গিয়ার, পর্যাপ্ত খাদ্য, ওষুধ ইত্যাদি। খুব শীতেও অন্তত ৫০ হাজার ভারতীয় জওয়ান পূর্ব লাদাখে থাকবেন।
সিয়াচেনে ১৯৮৪ সালে গ্লেসিয়ার দখল নেয় ভারতীয় সেনা। এরপর থেকে প্রায় হাজার জন সেনা মারা গিয়েছেন সেখানে। এর মধ্যে প্রায় ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, দুর্ঘটনা ও মেডিকাল কারণে।