ঠিক কীসের বিরুদ্ধে পঞ্জাব, হরিয়ানার কৃষকদের এই আন্দোলন সোমবার জানতে চাইল দেশের শীর্ষ আদালত। আসলে দিল্লির যন্তরমন্তরের সামনে অবস্থানে বসার জন্য অনুমতি চাইতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কৃষকদের একটি সংগঠন। সোমবার তারই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জানতে চায়, এই আইনের কর্মক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ইতিমধ্যেই আদালতে নালিশ জানানো হয়েছে। তারপরেও প্রতিবাদ কেন? বিচারপতি এম খানউইলকার ও বিচারপতি সিটি রবিকুমারের ডিভিশন বেঞ্চ এই প্রশ্ন তুলেছেন। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতার দাবি, দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালতের সামনে যে বিষয়টি আনা হয়েছে, তারপরেও একই বিষয় নিয়ে রাস্তায় আন্দোলন করা ঠিক নয়।
এদিকে মামলাকারী কিষান মহাপঞ্চায়েতের পক্ষের আইনজীবী অজয় চৌধুরী বলেন, শুধু এই কৃষি আইনের ব্যাপারে নয়, কৃষি সামগ্রীর সহায়ক মূল্য পাওয়াকে অধিকার বলে চিহ্নিত করার দাবিতেও এই আন্দোলন। এদিকে লখিমপুরের ঘটনাও আদালতে উঠে আসে এদিন। ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেনুগোপাল বলেন, এই ধরনের প্রতিবাদ আর চালানো উচিৎ নয়। বিচারপতিদের বেঞ্চও জানিয়েছেন, একদম ঠিক। এই ধরনের ঘটনা যখন ঘটে কেউ দায় নিয়ে চায় না। এরপরই বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, হয় আইনকে চ্যালেঞ্জ করে কোর্টে আসুন অথবা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করুন। হয় কোর্ট নয়তো রাস্তা, যেকোনও একটা বাছুন। মন্তব্য আদালতের।এদিকে ২১শে অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন দেওয়া হয়েছে।