মেট্রো স্টেশনের ছাদের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছেন সাদা রঙের সার্ট পরা এক তরুণী। একেবারে ছাদের ধারে চলে গিয়েছেন তিনি। একবার নীচেটা দেখে নিলেন। পড়লেই সব শেষ। আরও ধারে চলে যান তিনি। দিল্লি মেট্রোর অক্ষরধাম স্টেশনের ৪০ ফুট উঁচুতে দাঁড়িয়েছিলেন পঞ্জাবের ওই তরুণী। শোনা যাচ্ছে তিনি মূক ও বধির। অত্যন্ত ধৈর্য্যের সঙ্গে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন সিআইএসএফের জওয়ানরা। ম্যাডাম একবার শুনুন! ম্যাডাম প্লিজ এদিকে চলে আসুন। প্লিজ ম্যাডাম। তাঁকে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করেন সিআইএসএফ জওয়ানরা। কার্যত স্নায়ুর সঙ্গে যুদ্ধ। প্রতিটি মুহূর্তে টানটান শিহরণ। এখনই কি অত উঁচু থেকে লাফিয়ে পড়বেন তিনি। নীচে কংক্রিটের মেঝে। সব শেষ হয়ে যাবে। তিনি যাতে কোনওভাবে নীচে না ঝাঁপ দেন তার জন্য সব চেষ্টা করে CISF।
ফের একবার নীচের দিকে তাকান ওই তরুণী। তখনও বোঝানোর চেষ্টা করছেন সিআইএসএফ জওয়ানরা। যেমন করেই হোক তাঁকে রক্ষা করতেই হবে। আচমকাই ঝাঁপ দেন তরুণী। এমনটাই দেখা গিয়েছে সিআইএসএফের পোস্ট করা ভিডিয়োতে। বেঁচে গিয়েছেন তিনি। কী করে জানেন? দেখুন সেই ভিডিয়ো।
একেবারে রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষার শেষ। ওই ছাদের নীচেই কম্বল নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন সিআইএসএফ জওয়ানরা। তরুণী লাফ মারতেই তাঁকে ওই কম্বল দিয়ে লুফে ফেলেন তাঁরা। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে। ভিডিয়োতে শোনা যায় তরুণীর আর্তনাদ, কান্না। এর সঙ্গেই শোনা যায় উদ্ধারকারী টিমের তৃপ্তির শব্দ, বেঁচে গিয়েছেন। নেটমাধ্যমে অনেকেই কুর্নিশ জানিয়েছেন সিআইএসএফের এই দক্ষতাকে। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি বছর ২২শের তরুণী।