ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পরীক্ষাকে আরও দ্রুত ও ঝামেলাহীন করার ঘোষণা করল CISF। ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানালেন সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (CISF) কর্তারা।
ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা এ বিষয়ে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মী এবং এনজিও সদস্যদের সঙ্গে একটি কর্মশালার আয়োজন করেন। সেখানে বিমানবন্দর কর্মীদের চেক-ইন এবং নিরাপত্তা চেকের সময় শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাহায্য করার জন্য সংবেদনশীলতার পাঠ দেওয়া হয়।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দেশের নামজাদা বিভিন্ন এনজিওর ১০ জন প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ করা হয়। ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের নিরাপত্তা চেকিং সংক্রান্ত সমস্যাগুলির বিষয়ে তাঁরা আলোচনা করেন। বিশেষত ফ্রিস্কিংয়ের সময়ে কী করা উচিত্ তার পরামর্শ দেন তাঁরা।
বৈঠকের নেতৃত্ব দেন সিআইএসএফ-এর ডিরেক্টর জেনারেল এম গণপতি। ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দেশের ৬৪ জনেরও বেশি মূখ্য বিমানবন্দর নিরাপত্তা আধিকারিক এবং কয়কশো কর্মী।
'বিমানবন্দরে ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের সিকিউরিটি টেস্টের প্রক্রিয়াকে আমরা নির্দিষ্ট মানসম্মত করতে চাই। এ বিষয়ে এনজিও সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি আমরা। কীভাবে আমরা তাঁদের সাহায্য করতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে, আমরা ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি(বিসিএএস) দ্বারা নির্ধারিত নির্দেশিকা অনুসরণ করি,' জানালেন ডঃ অনিল পান্ডে, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল, সিআইএসএফ।
সোমালিয়ায় ২০১৬ সালে ডালো এয়ারলাইন্স বিস্ফোরণের পরে বর্তমান নির্দেশিকাগুলি তৈরি করা হয়েছিল। ডালো এয়ারলাইন্স বিস্ফোরণে একজন হুইল-চেয়ার ব্যবহারকারী ব্যক্তি বোমাটি বহন করেছিল বলে অভিযোগ। ভিন্নভাবে সক্ষমদের সঠিকভাবে নিরাপত্তা যাচাই না করায় সেই ব্যক্তি উড়ানে বিস্ফোরক নিয়ে চড়ে যায়। টেক অফের ২০ মিনিট পরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ হয়েছিল।
নিরাপত্তা এবং সম্মানরক্ষা, দুই দিক বজায় রাখাকেই গুরুত্ব দিতে চাইছে সিআইএসএফ।