কংগ্রেসের টুলকিট কাণ্ডে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্রের বিরুদ্ধে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে তাঁকে তলব করেছিল রায়পুর পুলিশ। তবে বিজেপি নেতা পুলিশের সামনে হাজিরা দিলেন না। ভার্চুয়াল মাধ্যমে পুলিশের কাছে হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি তা এড়িয়ে যায়। তাঁর আইনজীবী এই বিষয়ে পুলিশকে জানান, ত্রাণ কাজে ব্যস্ত থাকায় সম্বিত পাত্র পুলিশের সামনে উপস্থিত হতে পারছেন না।
এই বিষয়ে সম্বিত পাত্রের আইনজীবীর তরফে লেখা হয়, 'আমার মক্কেল এত কম সময়ের নোটিশে আমপানেদর সামনে উপস্থিত হতে পারছেন না। তাছাড়া তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় মুখপাত্র। বর্তমানে তিনি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জন্য ত্রাণ বিচরণের বিষয় খতিয়ে দেখছেন। তাই ব্যস্ততার কারণে তিনি পুলিশের সামনে হাজির হতে পারছেন না।'
অভিযোগ, টুইটারে টুলকিট নিয়ে 'ভুয়ো' টুইট করেছেন বিজেপির সর্বভাবরতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা সহ ৫ বিজেপি নেতা। সেই অভিযোগে টুইটার তাদের সেই টুইটগুলিকে 'ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া' ট্যাগ দিয়েছে টুইটার। এই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে টুইটারকে নির্দেশ পাঠানো হয়, যাতে সেই টুইটগুলি থেকে 'ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া' ট্যাগ সরিয়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, টুলকিট সংক্রান্ত একটি টুইট করে সম্প্রতি কংগ্রেসকে চাপে ফেলতে চেয়েছিল বিজেপি। সেই লক্ষ্যে বিজেপির মুখ্য মুখপাত্র সম্বিত পাত্র এক টুলকিট প্রকাশ করে দাবি করেন, যে কংগ্রেস কোভিডকালে দলীয় কর্মীদের করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেনকে 'মোদী স্ট্রেন' বলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কংগ্রেসের দাবি, এই টুলকিটটি ভুয়ো। এই ঘটনায় বিজেপিকে পাল্টা কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে কংগ্রেসের দাবি, বিজেপি মিথ্যাচার করছে। কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, ভুয়ো তথ্য ছড়াচ্ছে বিজেপি। পাশাপাশি সম্বিত পাত্রের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল কংগ্রেস। তারপরই কার্যত কংগ্রেসের দাবিকে মান্যতা দিয়েই সম্বিত পাত্রের সেই টুইটকে 'ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া' বা কারসাজি করা মিডিয়ার ট্যাগ দেওয়া হয় টুইটার কর্তৃপক্ষের তরফে।