বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > CJI Chandrachud: আইনজীবীর উপর রেগে গেলেন প্রধান বিচারপতি, কড়া ধমক, কেন?

CJI Chandrachud: আইনজীবীর উপর রেগে গেলেন প্রধান বিচারপতি, কড়া ধমক, কেন?

ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ফাইল ছবি (PTI Photo/Arun Sharma)  (PTI)

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিচার প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সময় প্রধান বিচারপতি সাধারণত মেজাজ হারান না। এদিকে ওই আইনজীবী বার বার শুনানির একটু আগাম তারিখ চাইছিলেন। এনিয়ে বিরক্ত হয়ে যান প্রধান বিচারপতি।

একেবারে দৃশ্যতই বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় । তিনি এক আইনজীবীকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ক্ষুব্ধ বিচারপতি জানিয়েছেন, আমার কর্তৃত্ব নিয়ে ঘাঁটাতে যাবেন না।তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে প্রধান বিচারপতিকে এমন মুডে বিশেষ দেখা যায় না।

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিচার প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সময় প্রধান বিচারপতি সাধারণত মেজাজ হারান না। এদিকে ওই আইনজীবী বার বার শুনানির একটু আগাম তারিখ চাইছিলেন। এনিয়ে বিরক্ত হয়ে যান প্রধান বিচারপতি।

এক সময় আইনজীবী বলে ফেলেন, যদি অনুমতি দেন তবে অন্য় বেঞ্চের কাছে মেনশন করতে পারি।

এরপরই প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, এই ধরনের চালাকি আমার সঙ্গে খেলবেন না। আমি এটা এখানে উল্লেখ করতে পারেন না। আবার আগাম তারিখ চাইছেন। এদিন সেই বেঞ্চে প্রধান বিচারপতির সঙ্গেই বিচারপতি পিএস নরসিংহ, জেপি পর্দিওয়ালা এই বেঞ্চে ছিলেন।

এদিকে বেঞ্চের মেজাজ বুঝে আইনজীবী তাঁর ক্ষমা চান।

এরপর ওই আইনজীবীকে দেশের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, হ্যাঁ আপনি ক্ষমা চান। কিন্তু আমার কর্তৃত্ব নিয়ে ঘাঁটাতে আসবেন না। এরপরই বিচারপতি অন্য় মামলার শুনানিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

এদিকে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, প্রতিদিন সকালে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ গড়ে প্রায় ১০০টি মামলার শুনানির ব্যাপারে দ্রুত তালিকাভুক্ত করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন।

এদিকে এর আগে প্রধান বিচারপতি প্রযুক্তি যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে মতামত দিয়েছিলেন। আমেরিকার বার অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত কনফারেন্সে বক্তব্য রেখেছিলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর মতে, সত্যি বিষয়গুলিও ভুয়ো খবরের শিকার হচ্ছে এটা একেবারে সত্যি। তিনি জানিয়েছেন সহ্য়শক্তির কিছুটা ঘাটতি রয়েছে বর্তমান জনতার। এটা আধুনিক যুগের একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

জনতার মধ্যে ধৈর্য্য ও সহ্যশক্তি না থাকাকেও তিনি এ যুগের একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেছিলেন। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছিলেন, বর্তমানে মিথ্যে খবরের জেরে সত্যিও শিকার হয়ে যাচ্ছে। সোশ্য়াল মিডিয়ার প্রসারের জেরে সেখানে প্রথমে একটি বীজের অঙ্কুরোদ্গম হয়। আর সেটাই একেবারে শাখাপ্রশাখা বিস্তার করে ফেলে। কিন্তু সেটা যৌক্তিকতার সঙ্গে বিচার করা হয় না।

এমনকী তিনি জানিয়েছিলেন বিচারপতিদের নিয়েও ট্রোলিং করা হয়। ট্রোলিং থেকে রেহাই পান না বিচারপতিরাও। তিনি জানিয়েছেন, ছোট ছোট জিনিস যেটা আমরা করি, আর বিচারপতি হিসাবে বিশ্বাস করি সেটাও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী কিছু হয় না। আমরা যে কাজ করি, সেক্ষেত্রে এমন মানুষরাও আমাদের ট্রোলিং করেন তিনি আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গি টুকুও শেয়ার করেন না। আমরা এমন একটা সময়ে বাস করি যেখানে লোকজনের ধৈর্য্য অত্যন্ত কম। তাদের ধৈর্য্য অত্যন্ত কম। তারা কোনও বিষয়কে মানতেও পারেন না।

দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছিলেন, বর্তমানে সমাজ একটি বিপদের মধ্য়ে দিয়ে চলছে। প্রযুক্তি কার্যত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

 

বন্ধ করুন