সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়শনের প্রধান বিকাশ সিংকে সম্প্রতি তীব্র ভর্ৎসনা করেছিলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সেই ঘটনায় আইনজীবী বিকাশ সিংয়ের পাশেই দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল বার অ্যাসোসিয়শন। পাশাপাশি এই ঘটনায় আইনজীবী কপিল সিব্বল এবং নীরজ কিষাণ কউলকে শোকজ নোটিশ পাঠাল অ্যাসোসিয়েশন। এই দুই আইনজীবী বিতর্কিত ঘটনায় 'বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে প্রধান বিচারপতির কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন'। পাশাপাশি বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, 'অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে ছোট করা হলে, তার প্রেক্ষিতে কড়া পদক্ষেপ করা হবে'। অ্যাসোসিয়েশন একটি বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেয়। এরপরই শোকজ নোটিশও পাঠানো হয় দুই বর্ষীয়ান আইনজীবীকে। (আরও পড়ুন: OPS নিয়ে 'বিজেপির সুর' রঘুরাম রাজনের গলায়, কী বললেন প্রাক্তন RBI প্রধান?)
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের দায়ের করা জমি বরাদ্দ সংক্রান্ত মামলার শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার আবেদন জানান আইনজীবী বিকাশ সিং। তবে প্রধান বিচারপতি সেই মামলা তালিকাভুক্ত করেননি। তারপরই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান। তিনি জানান, তাহলে তাঁকে বিষয়টি নিয়ে আরও সরব হতে হবে। এমনকী তিনি বলেন, 'তাহলে আপনার বাসভবনে আসতে হবে।' তারপরই তুমুল রেগে যান প্রধান বিচারপতি। এই ঘটনায় পরবর্তীকালে 'বার অ্যাসোসিয়েশন'-এর তরফে ক্ষমা চেয়ে নেন আইনজীবী কপিল সিব্বল এবং নীরজ কিষাণ কউল। এই আবহে নীরজ ও কপিলকে শোকজ নোটিশ পাঠাল বার অ্যাসোসিয়েশন।
এদিকে বিকাশ সিংয়ের ওপর রেগে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি তাঁকে আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে যেতে বলেছিলেন। সঙ্গে তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চকে ভয় দেখিয়ে কোনও কাজ হয়ে যাবে, সেরকম আশা করা একেবারেই কাঙ্খিত নয়। জাস্টিস চন্দ্রচূড় বলেন, 'আমি কখনও কোনও কারও সামনে দমে যাইনি। কেউ ভয় দেখাতে পারেননি। আমার পেশাদারি কেরিয়ারে শেষ দু'বছরে সেটা হতেও দেব না।' প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, 'এটা আমার রায়। আমি সেটা ঘোষণা করে দিয়েছি। এবার আদালত ছেড়ে চলে যান। আগামী ১৭ মার্চ মামলার শুনানি হবে।' প্রধান বিচারপতির সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আইনজীবী সিং জানান, মামলাটি ন'বার নথিভুক্ত হয়েছে। তাতে পালটা প্রধান বিচারপতি বলেন, 'এরকম আচরণ করতে পারেন না আপনি। আমি মাথানত করব না। সাধারণ মামলাকারী হিসেবে আপনাকে গণ্য করা হবে।' পরবর্তীতে সেই ঘটনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি বলেন, 'আজ যা হয়েছে, সেজন্য ক্ষমা চাইছি। নিজের সীমা অতিক্রম করা উচিত হয়নি বারের প্রধানের।' তারপর সংক্ষিপ্ত জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'ধন্যবাদ।'