সুপ্রিম কোর্টের এজলাসেই ভারতের প্রধান বিচারপতি বিআর গভাইয়ের ওপর হামলার চেষ্টায় ক্ষুব্ধ তাঁর পরিবার। এই আবহে প্রধান বিচারপতির বোন মুখ খুললেন। তিনি বললেন, এই ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আগামী প্রজন্ম ক্ষমা করবে না। এই ঘটনাকে 'বিষাক্ত মানসিকতার' প্রতিফলন হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি। এর আগে বিচারপতি গভাইয়ের মা কমলতাই গাভাইও এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।
সোমবার রাকেশ কিশোর নামে এক আইনজীবী আদালত চত্বরে প্রধান বিচারপতির দিকে জুতো ছুড়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন। এই আবহে প্রধান বিচারপতির বোন কীর্তি গাভাই বলেছেন, এই বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া তাঁর দাদার নম্রতা। তিনি বলেন, 'আমরা দাদার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আদালতকে এটি উপেক্ষা করার জন্য বলেছিলেন। তবে সত্যি কথা বলতে, আমাদের এটি উপেক্ষা করা উচিত নয়। এটি তাঁর নম্রতা যে তিনি অভিযুক্তকে ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু আমরা যদি এ ধরনের আচরণ বন্ধ না করি, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের কখনও ক্ষমা করবে না।' প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি একে 'বিষাক্ত মতাদর্শের' হামলা বলে বর্ণনা করেছেন। কীর্তি গভাই আরও বলেন, যারা সংবিধান বিরোধী কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, 'এটি কোনও ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়, বরং বিষাক্ত মতাদর্শের সংবিধানের উপর আক্রমণ। আমাদের এই অসাংবিধানিক আচরণ বন্ধ করতে হবে।'
উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর আদালত চলাকালীন এক আইনজীবী বিচারপতি বিআর গভাইয়ের দিকে জুতো ছুড়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন। সেই আইনজীবীর অভিযোগ ছিল, বিচারপতি গভাই সনাতন হিন্দু ধর্মের অবমাননা করেছেন। আইনজীবীর ছুড়ে মারা জুতোটি অবশ্য বিচারপতির বেঞ্চ পর্যন্ত পৌঁছায়নি। তার আগেই উপস্থিত অন্যান্যরা সেটি ধরে ফেলেন। পরে প্রবীণ ওই আইনজীবীকে আদালতকক্ষ থেকে বার করে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন সেই আইনজীবীকে চিৎকার করে বলেতে শোনা যায়, 'আমরা সনাতনের অপমান সহ্য করব না।' প্রধান বিচারপতির পাশাপাশি ওই বেঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রন। তবে প্রধান বিচারপতি বিআর গভাই এই ঘটনায় বিচলিত হননি। পাশাপাশি আদালতের কাউকে এর জন্য বিভ্রান্ত হতেও বারণ করেছিলেন তিনি। প্রধান বিচারপতি বিআর গভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন নরেন্দ্র মোদী। পরে এই ঘটনার নিন্দা করে প্রধানমন্ত্রী এক্স বার্তায় লিখেছিলেন, সমস্ত ভারতবাসী এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ।