ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে বিমা। যে কোনও আর্থিক পরিষেবা পেতেই আজকাল KYC নথি জমা দিতে হয়।
'নো ইয়োর কাস্টমার' বা সংক্ষেপে KYC-র জন্য বেশ কিছু নথি বৈধ হিসাবে গ্রহণ করা হয়। তার মধ্যে রয়েছে প্যান কার্ড, আধার কার্ড, পাসপোর্ট, ভোটার আইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি।
এই জাতীয় KYC নথিগুলির কপির পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট আর্থিক সংস্থার প্রতিনিধিদের যাচাইকরণের (IPV) জন্য মূল নথিও দেখাতে হয়। কেওয়াইসি 'প্রুফ' হিসাবে বেশ কয়েকটি নথি দেখানোর অপশন রয়েছে। আর সেই কারণেই অনেক সময়ে কেউ কেউ একই আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা অন্য প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন আর্থিক পরিষেবার জন্য আলাদা আলাদা নথি জমা দেন।
এর ফলে সমগ্র কাজে একটা অসামঞ্জস্য এসে যায়। সেটা দূর করার জন্যই নয়া সেন্ট্রাল KYC বা CKYC। কয়েক বছর আগেই ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) এটি চালু করে। এর লক্ষ্য হল SEBI, IRDAI নিয়ন্ত্রিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিমা পরিষেবাগুলির কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সরলীকরণ করা।
একবার সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হলে, CKYC করেছেন, এমন কোনও গ্রাহককে ভারতের কোথাও, নতুন কোনও আর্থিক পরিষেবা পাওয়ার জন্য আলাদা করে KYC নথি জমা করতে হবে না। শুধুমাত্র CKYC-র নম্বর উল্লেখ করলেই যথেষ্ট। সেটার মারফতই ডেটাবেস থেকে যাচাইকরণ করে ফেলবে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
CKYC বাস্তবায়নের ফলে গ্রাহকদের সুবিধা তো হবেই। একইভাবে লাভবান হবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিও। উদাহরণস্বরূপ, একই ব্যাঙ্কে বা অন্য ব্যাঙ্কে ইতিমধ্যেই কোনও ব্যক্তির কতগুলি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেই সম্পর্কে সহজেই তথ্য পাওয়া যাবে। এর ফলে অ্যাকাউন্ট অপেনিং সংক্রান্ত বেনিয়মও সহজে ধরা যাবে।
যদিও বিষয়টি ইতিবাচক দিক দিয়েই বেশি ভাবার পরামর্শ দিচ্ছেন স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন চেয়ারম্যান রাজনীশ কুমার। অ্যাকাউন্ট বন্ধ নয়, নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে সাহায্য করাই CKYC-র মূল লক্ষ্য।