নরসিংদিতে আলোকবালি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সদস্যপদে দাঁড়ানো দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বৃহস্পতিবার ভোরে সংঘর্ষ হয়েছে৷ এতে তিনজন নিহত হন৷ আরও ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নরসিংদির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলি পাঠান৷
বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে জানিয়েছে, আগামী ১১ নভেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় আওয়ামী লিগের দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল৷
নিহতরা হলেন আলোকবালির নেকজানপুর এলাকার কডু মিঞার ছেলে আমির হোসেন (৫০), জলিল মিঞার ছেলে আশরাফুল হক (২০) এবং আবদুল হক মিঞার স্ত্রী খোরশেদা বেগম খুশু (৫৫)৷
আলোকবালি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদের দুই প্রার্থী আবুল খায়ের ও রিপন মোল্লার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে৷ দু'পক্ষের লোকজন টেঁটা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পরস্পরের উপর হামলা চালায়৷ এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন৷ পরে আহতদের নরসিংদির বিভিন্ন হাসপাতালে ভরতি করা হয়৷
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলি পাঠান বলেন, তিনজনের দেহ নরসিংদি সদর হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে৷ ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷ স্থানীয়রা জানান, নিহতরা সবাই আলোকবালি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেনের কর্মী-সমর্থক৷ এবারও তিনি চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী৷ তবে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি৷
(বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)