জাতীয় পতাকা উত্তোলন কে করবেন? তাই নিয়ে বচসাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন আরজেডির নেতা-কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে স্বাধীনতা দিবসে বিহারের সীতামাঢ়ি জেলার সোনবর্ষা ব্লকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। দলের নেতাদের মারধর এবং বচসার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস আর প্রজাতন্ত্র দিবসের পতাকা উত্তোলনের তফাৎ আছে, কী সেটা জানেন
সীতামাঢ়ি জেলার সোনবর্ষা ব্লক আরজেডি অফিসে মহিলা আরজেডি রাজ্য সভাপতি ঋতু জয়সওয়ালের উপস্থিতিতে স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলনের জন্য আরজেডি নেতারা নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। স্থানীয় আরজেডি নেতারা ব্লক সভাপতির তীব্র বিরোধিতা করেন এবং তাঁকে পতাকা উত্তোলন করতে দেননি। এরপর সেখান থেকে চলে যান মহিলা আরজেডি রাজ্য সভাপতি।
কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, সেখানকার দলের ব্লক সভাপতি হলেন অনিল মাহাতো। তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে স্থানীয় আরজেডি নেতা মুন্না শাহের অনুগামীদের মধ্যে হাতাহাতি বাঁধে। ব্লক সভাপতি অনীল মাহাতো জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু, স্থানীয় আরজেডি নেতারা জানান, এই ব্লক অফিসের উদ্বোধন এখনও করা হয়নি। তাছাড়া এই অফিসের জন্য মুন্না জমি দিয়েছিলেন। তাই তিনিই পতাকা উত্তোলন করবেন।
ব্লক সভাপতি অনিল মাহাতো পতাকা উত্তোলন করতে পারবেন না। তাই নিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বচসা চলে। পরে তাঁরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। আরজেডি নেতাদের মারপিট দেখে সেখানে প্রচুর স্থানীয় মানুষের ভিড় জমে। অনেকেই সেই ঘটনার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করেন। পরে দীর্ঘক্ষণ ধরে ঝামেলার পর নিজেরাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিকে, দুপক্ষের সংঘর্ষের অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যান জয়সওয়াল। তিনি পরে জানান, তিনি পতাকা উত্তোলন করতে যাননি। ব্লক সভাপতিকে সমর্থনের জন্য সেখানে গিয়েছিলেন। তবে নেতারা নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ায় তিনি সেখান থেকে চলে যান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে অস্বস্তিতে পড়েছে আরজেডি। প্রসঙ্গত, জয়সওয়াল লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।