আর কয়েক দশকেই শুকিয়ে যাবে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্রের মতো নদীগুলি। জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তঃসরকার প্যানেলের (আইপিসিসি) রিপোর্টে এমনই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে সমুদ্রের জল স্তরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে রিপোর্টে। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন হবে যে মুম্বইয়ের মতো শহরে ঢুকে যেতে পারে সমুদ্রের জল। ঢাকা, নিইইয়র্কের মতো শহরও বন্যার জলে ভাসবে। কলকাতায় ঝড়ের প্রকোপ বাড়বে কয়েক গুন।
আইপিসিসির ষষ্ঠ সমীক্ষা রিপোর্টে যে সকল দাবি করা হয়েছে, তা বাস্তবে রূপ নিলে ভারতের বহু এলাকা আর বাসযোগ্য থাকবে না। আইপিসিসি বলেছে, আগামী ১৮ বছরে (২০৪০ সাল পর্যন্ত) বৈশ্বিক উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যায়ে পৌঁছে গেলে জলবায়ু সংক্রান্ত একাধিক বিপদ এবং ঝুঁকি অনিবার্য হয়ে পড়বে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এখনই ব্যবস্থা না নিলে ঘনঘন বন্যা কবলিত হতে পারে মুম্বই। অপরদিকে অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে আমেদাবাদে। আইপিসিসি সতর্ক করে বলেছে যে জলবায়ু সংকটের প্রভাব এবং ঝুঁকিগুলি ক্রমেই জটিল হয়ে পড়ছে। এই আবহে এই ঝুঁকি কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা আরও কঠিন হয়ে উঠছে। আর এর জেরে একাধিক বিপদ ঘটছে।
রিপোর্টে বলা হয়, প্রায় ৩.৩ থেকে ৩.৬ বিলিয়ন মানুষ (বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ) এমন পরিস্থিতিতে বাস করে যাতে জলবায়ু পরিবর্তন হলে তারা অত্যন্ত ঝুঁকিতে পড়বে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সম্পত্তিহানির সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে চলতে থাকলে শতকের শেষ নাগাদ চিনে ৪২ শতাংশ এবং ভারতে ৯২ শতাংশ জিডিপির ক্ষতি হতে পারে।