জরুরি পরিষেবা ছাড়া সরকারি হোক বা বেসরকারি - সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখুন।সোমবার উত্তরপ্রদেশ সরকারকে এই নির্দেশ দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেভাবে দেশে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত জরুরি পরিষেবা ছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ রাখা হোক। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে যোগী আদিত্যনাথ সরকার উচ্চতর আদালতেও যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা।
সোমবার হাইকোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও স্বাস্থ্য পরিষেবা, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পুর পরিষেবা, পরিবহণ ব্যবস্থাকে বন্ধের আওতার বাইরে রাখতে হবে। একইসঙ্গে আদালতের তরফে বলা হয়েছে, যেসব মুদিখানার দোকানে তিনজনের বেশি কর্মচারী কাজ করেন, সেই সব দোকান আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখা হোক। আদালতের তরফে জানানো হয়, করোনাকে প্রতিরোধ করতে গেলে আরও দুই সপ্তাহ লকডাউনের খুব প্রয়োজন। দুই সপ্তাহ লকডাউন করা হলে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কমানো সম্ভব হবে।একইসঙ্গে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, প্রয়াগরাজ, লখনউ, বারাণসী, কানপুর, গোরখপুরের মতো জায়গায় স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। হাসপাতালে চাহিদার তুলনায় বেড নেই। এই পরিস্থিতিতে শুধু স্বাস্থ্য কর্মীরাই নন, সাধারণ মানুষও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে পার্শ্ববর্তী দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ রুখতে ছ'দিনের জন্য লকডাউন পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঘোষণা করেছেন, সোমবার রাত থেকে দিল্লিতে লকডাউন পর্ব শুরু করা হবে, যা আগামী ২৬ এপ্রিল ভোর পর্যন্ত চলবে।