ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে ঘাটতি। এদিকে মার্চের মাঝামাঝি তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ভারতেও গমের উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে।
আর তার সরাসরি প্রভাবে গমের দাম রেকর্ড মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এপ্রিলে গমের দাম ৬.৯৫% বেড়েছে। দাম বৃদ্ধির আরও একটা কারণের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
বেসরকারি ব্যবসায়ীরাও পরে দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখে আগেভাগে বেশি বেশি করে গম কিনে মজুদ করছেন। বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির কারণে তাই তুঙ্গে দাম।
বিশ্লেষকদের মতে, এর ফলে আগামিদিনে ভারত বিদেশে গম রপ্তানি করতে পারবে কিনা তা প্রশ্নের মুখে পড়ে যাচ্ছে। তাছাড়া দেশের অভ্যন্তরে দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা তো আছেই।
গত অর্থবর্ষে মার্চ ভারত রেকর্ড ৭.৮৫ মিলিয়ন টন গম রপ্তানি করেছে। এক বছর আগের তুলনায় যা প্রায় ২৭৫% বেশি। সেই ধারা এবার অব্যাহত থাকবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
সরকারি বিশেষজ্ঞদের ধারণা গম ক্রয় গত ১৫ বছরের সর্বনিম্ন হতে পারে। সরকারি গম ক্রয়ের পরিমাণ ১৯.৫ মিলিয়ন টনে নেমে আসতে পারে। যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ৪৪ মিলিয়ন টন।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, প্রায় ৮০ কোটি ভারতীয়র ভর্তুকিযুক্ত খাদ্য বিতরণের জন্য সরকারের নূন্যতম ৩০.৫ মিলিয়ন টন গম প্রয়োজন। তার পাশাপাশি অন্যান্য কল্যাণ প্রকল্প এবং প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা, কোভিড-ত্রাণের খাদ্যশস্যের জন্য প্রয়োজন বিপুল পরিমাণে গম।
'গমের উত্পাদনের প্রকৃত পরিমাণ সম্পর্কে কেউ নিশ্চিত নয়। গমের উৎপাদন ৯০-৯৫ মিলিয়ন টন হতে পারে। সরকারের অনুমান এখনও অস্থায়ী,' বললেন হরিয়ানার কর্নালের প্রাক্তন কৃষি সম্প্রসারণ আধিকারিক রাজিন্দর সিং।