মুম্বই সফরে পা রেখে এগোতেই মিলেছিল এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের সমর্থন। তাই এনসিপি নেতা নবাব মালিককে বলতে শোনা যায়, ‘বাংলার বাইরে সংগঠন তৈরি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলবৃদ্ধি করার অধিকার সকলের আছে।’ নিজের রাজ্যে লগ্নি টানতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী। এপ্রিল মাসেই রয়েছে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। তা নিয়ে তিনি শিল্পপতিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমন্ত্রণও করেছেন। এরপর আজ সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি কথা কম, কাজ বেশি করতে ভালোবাসি। মুম্বই–কলকাতার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের।’
সুতরাং তিনি লগ্নি টানতে কাজ বেশি করবেন বলেই বার্তা দিয়ে দিলেন। আজ, বুধবার নির্ধারিত সূচি মেনেই বিশিষ্টজনদের সঙ্গে দেখা করেন মমতা। বৈঠকে জাভেদ আখতার, সুধীর কুলকর্নি, স্বরা ভাস্করের মতো একাধিক বিশিষ্টজন উপস্থিত ছিলেন। বিশিষ্ট সুরকার জাভের আখতারের পৌরহিত্যেই এই বৈঠকে মমতা মুখোমুখি হন বিশিষ্টজনেরা।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, কে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘লড়াইটা কেবল প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য নয়। এটা গণতন্ত্রকে বাঁচানোর লড়াই। সময় আসলে এমনিতেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, কে বসবেন প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে। এখন একমাত্র লক্ষ্য বিজেপিকে বোল্ড আউট করা। বাংলায় ধর্মের বিভাজন হয় না। বাংলায় সব ধর্ম সমান সমান। পেশীশক্তি দিয়ে দেশ চালানো যায় না। অগণতান্ত্রিকভাবে দেশ চালানো যায় না। আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়ব। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে।’
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপিকে তুলোধনা করেন তিনি। মমতা বলেন, ‘আমার লক্ষ্য গণতন্ত্রকে রক্ষা করা। নাগরিক সমাজকে আগামী দিনের কথা ভাবতে হবে। বিজেপি আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। বাংলায় রেশন থেকে শিক্ষা, সবটাই দেওয়া হয় বিনামূল্যে। স্বাস্থ্য থেকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড আমরা চালু করেছি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করে মেয়েদের সম্মান দিয়েছি।’