তিনি এপারের সবার দিদি হয়েও ওপারের প্রধানমন্ত্রীকে দিদি বলেই ডাকেন। বাংলার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বরাবরই মধুর। এমনকী তাঁদের কৃষ্টি–সংস্কৃতির সঙ্গে এপারের মিল তো রয়েছেই। ইছামতীর বুকে মিশে যায় দুই বাংলা নানা সময়ে। সেই ঐতিহ্য আজও অটুট। তাই তো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আম পাঠিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর তা পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী কতটা খুশি হয়েছেন সেটাই চিঠিতে লিখে পাঠিয়েছেন তিনি।
পদ্মাপারের ওই আমের নাম–হাড়িভাঙা। সেই আম পেয়ে ‘আপ্লুত’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি লিখে ধন্যবাদ জানালেন তাঁর ‘হাসিনা দি’কে। ঠিক কী লিখেছেন তিনি? চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘শ্রদ্ধেয় হাসিনা দি, আপনার পাঠানো আম পেয়ে আমার খুব ভাল লেগেছে। বাংলাদেশের রংপুর জেলার হাড়িভাঙা আমের নাম শুনেছিলাম, আগে কখনও খাইনি। আপনি এত আম পাঠিয়েছেন যে, আমি দু’হাত ভরে বিলিয়েছি। ঐ আমের মধ্যে আপনার যে স্নেহ ও বাংলাদেশের যে সৌরভ মিশে আছে তাকে আমি সম্মান জানাই।’
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আম উপহার পাঠিয়ে ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনকী উপহার দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকেও। সেদিন ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে বেনাপোল হয়ে সেই আম ভারতে প্রবেশ করে। তার প্রেক্ষিতে ত্রিপুরা থেকে আনারস যায় বাংলাদেশে। সেই উপহার ত্রিপুরা সরকার পাঠিয়েছে।
বাংলাদেশের রংপুর জেলার বিখ্যাত হাড়িভাঙ্গা আম উপহার হিসাবে বাক্স ভরে ভরে পাঠিয়ে ছিলেন শেখ হাসিনা। প্রায় ৬৫ মণ আম পাঠানো হযেছিল। তাই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর চিঠির শেষে লেখেন, ‘আমি সত্যিই আপ্লুত। শ্রদ্ধা নেবেন।’ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের জন্যও হাড়িভাঙ্গা আম উপহার হিসাবে পাঠিয়েছেন শেখ হাসিনা। বাঙালির মধ্যে সৌহার্দ্য বজায় রাখতে অভিনব সৌজন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর।