CM Manohar Khattar: বিচারপতিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ক্ষমা চাইলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী

মুখ্যমন্ত্রী খট্টর বলেন, ‘বিচার বিভাগ এবং আইনবিভাগের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে কাজ করা উচিত। এগুলি জনকল্যাণের জন্য কাজ করে।’ প্রসঙ্গত, রাজ্যে ৫ হাজার পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল হরিয়ানা সরকার। তার মধ্যে ৩ হাজার নিয়োগ হওয়ার পর হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করে।

হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর (HT_PRINT)

হাইকোর্টের বিচারপতিকে নিয়ে করা বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে ক্ষমা চাইলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। মুখ্যমন্ত্রী সোমবার জানান, যে তিনি মনে করেন যে তাঁর এই মন্তব্য করা উচিত ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি আদালতকে সম্মান করি। আমি তাৎক্ষণিকভাবে বলেছিলাম যে আদালতের সিদ্ধান্ত যাই হোক, সেটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে এবং এতে কোনও সন্দেহ নেই।’ উল্লেখ্য, খট্টর বলেছিলেন, ‘একজন বিচারপতি আছেন। তাঁর মাথায় কিছু সমস্যা আছে। সেগুলি শীঘ্রই ঠিক করা হবে।’ তাঁর এই মন্তব্যের পরেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সেই মন্তব্য ভাইরাল হয়ে যায়। তাঁকে এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি নেটিজেনরাও।

মুখ্যমন্ত্রী খট্টর বলেন, ‘বিচার বিভাগ এবং আইনবিভাগের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে কাজ করা উচিত। এগুলি জনকল্যাণের জন্য কাজ করে।’ প্রসঙ্গত, রাজ্যে ৫ হাজার পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল হরিয়ানা সরকার। তার মধ্যে ৩ হাজার নিয়োগ হওয়ার পর হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করে। ফলে ২ হাজার পদ এখনও ফাঁকা রয়েছে। কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রে হাইকোর্টকে বাধা হিসেবেই দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরেই তিনি বিচারপতিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। এদিন ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, ‘আমিও মনে করি এই মন্তব্য করা উচিত ছিল না। বিষয়টি কোনও বিচারপতির কানে পৌঁছলে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তবে, আমি বলতে চাই নিয়োগে বিলম্বের কারণে হাজার হাজার প্রার্থী সমস্যায় পড়েছেন। তাঁরা তাঁদের প্রশিক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছে না। কাজে যোগ দিতে পারছেন না। তাই ভুলভাবে আমি এই মন্তব্য করে ফেলেছি। এর জন্য আমি দুঃখিত।’

উল্লেখ্য, রবিবার একটি জনসভায় কনস্টেবল নিয়োগে দেরি হওয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘একজন বিচারপতি আছেন তাঁর মাথায় কিছু সমস্যা আছে। আমরা সব ঠিক করে দেব। তিন হাজার প্রার্থীর যোগদান সম্পন্ন হয়েছে, বাকি প্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগ করা হবে।’

মুখ্যমন্ত্রী খট্টরের বক্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করে কংগ্রেস। রাজ্যসভার সাংসদ তথা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেছিলেন, ‘বিচার বিভাগ সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা সরকারের চরিত্রকে প্রতিফলিত করে। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত। যদি তিনি ক্ষমা না চান তবে এই আপত্তিকর বক্তব্যের জন্য তাঁকে পদত্যাগ করা উচিত।’