একুশের নির্বাচনটা শুধু বাংলার ছিল না। তা ছিল গোটা দেশের কাছে আগামীর বার্তা। এবার তেমনই সুর শোনা গেল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের গলায়। এদিন মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ উদ্ধব ঠাকরে বলেন, ‘যখনই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বিপন্ন হয়েছে গোটা দেশকে পথ দেখিয়েছে বাংলা।’ অর্থাৎ গোটা দেশের এখন যা অবস্থা তার পরিবর্তন করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই মুখ বলে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন। আবার বিরোধীদের একজোট করে মিশন ২০২৪ সফল করার বার্তা দিয়েছেন তিনি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। বৃহৎ মুম্বই কর্পোরেশন নির্বাচনের আগে এভাবে কংগ্রেসকেও একটা বার্তা দিতে চাইছেন তিনি বলেও মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী? উদ্ধব ঠাকরে বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা লড়াই করেছেন। একাই বাংলার নির্বাচনে জয় হাসিল করেছেন। যাবতীয় কুমন্তব্য এবং আক্রমণের বিরুদ্ধে বাঙালি তাদের ইচ্ছাশক্তিকে প্রমাণ করেছে। স্বাধীনতার মন্ত্র বন্দেমাতারাম–কেই যেন নতুনভাবে উজ্জীবিত করেছে বাংলার এই নির্বাচন। বাঙালি দেখিয়েছে স্বাধীন হতে গেলে কী প্রয়োজন।’ এই মন্তব্য তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেমন অক্সিজেন দিল, তেমনই অস্বস্তি বাড়াল গেরুয়া শিবিরের। কারণ একদা কেন্দ্রের সঙ্গে জোট ছিল তাঁদের।
এখানেই শেষ নয়, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যখনই আঞ্চলিক শক্তি বিপদগ্রস্ত হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো চাপের মুখে পড়েছে, পশ্চিমবঙ্গের একলা চলো রে নীতি উদাহরণ হয়ে থেকেছে। নানা আঘাত নেমে এসেছে বাংলায়। কিন্তু বাঙালির পক্ষে সকলে দাঁড়িয়েছে। বাংলাই দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে আঞ্চলিক শক্তিকে জিইয়ে রাখতে হয়।’ এখন কেন্দ্র–রাজ্য সংঘাত চলছে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে বাড়তি সক্রিয় হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে। বিজেপি নেতাদের মুখে শোনা যাচ্ছে রাষ্ট্রপতি শাসনের জুজু। সেখানে দাঁড়িয়ে এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।