স্বপ্ন হল সত্যি। বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে পাশ করেছে বিহারের এক নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। তাঁর বাবা জুতো সেলাই করে সংসার চালাতেন। ২৭ বছর বয়সী বীরেন্দ্র কুমার পরিবারের প্রথম সন্তান যিনি বিপিএসসির মতো সরকারি চাকরির পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে উতরে গিয়েছেন।
প্রসঙ্গত বীরেন্দ্র কুমারের বাবা ভিখারী রামের পেশা ছিল জুতো সেলাই করা। ২০১২ সালে তিনি মারা যান। এরপর বীরেন্দ্র কুমারের বড় দাদা জিতেন্দ্র কুমার পারিবারিক ব্যাবসা চালিয়ে যান। তিনি একটি ব্য়াগের দোকান চালাতেন। সেই দরিদ্র পরিবারের সন্তান বীরেন্দ্র কুমারের ২ হাজার ২৩২ তম স্থানে রয়েছেন। তিনি ব্লক সাপ্লাই আধিকারিকের পদ পেয়েছেন। তবে সাফল্যের পথে তাঁর এই জার্নির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি তথাকথিত বড় কোনও স্কুলে পড়াশোনা করিনি। আমি গ্রামের সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করেছি। ঔরঙ্গাবাদের দাউদনগরের কলেজ থেকে আমি পাশ করেছি। প্রতিযোগিতামূলক কোনও পরীক্ষায় বসার কোনও সিদ্ধান্ত আমার মনে ছিল না। তবে রাজীব স্যার নামে এক সিনিয়রের উৎসাহে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসেন তিনি। তিনিই বীরেন্দ্রকে বিপিএসসি পরীক্ষায় বসার জন্য উৎসাহ দিয়েছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর তাঁর দাদা বাড়ির সমস্ত দায়িত্ব নেন। প্রচন্ড আর্থিক সংকটের মধ্যেও তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন।
বীরেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, ‘আমার দাদার আয়ও একেবারে নগন্য। অত্যন্ত কষ্টে সংসার চালাত দাদা। ২০১২ সাল থেকে ডিম বেচার কাজও চালিয়েছি। পাঁচ বছর ধরে এই কাজ চালিয়েছি। এরপর ব্যাবসার কিছুটা উন্নতি হয়।’ তখন কাজ থেকে অব্যাহতি নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য মনোনিবেশ করেন বীরেন্দ্র। প্রথমবার পরীক্ষা দিয়েই সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি।