ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত সাতটি সরকারি কলেজে প্রবেশিকা পরীক্ষা হবে। স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষে ভরতির জন্য সেই পরীক্ষা আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে হবে বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে। সেজন্য ইতিমধ্যে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) এএসএম মাকসুদ কামাল বিডিনিউজ২৪.কমকে জানিয়েছিলেন, আজ (শনিবার) থেকেই অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হযে গিয়েছে। যা চলবে আগামী ২০ অগস্ট পর্যন্ত। ইচ্ছুক প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট সাত কলেজের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন জানাতে পারবেন। তারপর অক্টোবরে হবে প্রবেশিকা পরীক্ষা। বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষা হবে ১ অক্টোবর। পরদিন তথা ২ অক্টোবর কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হবে। ৮ অক্টোবর হবে বাণিজ্য শাখার ভরতির প্রক্রিয়া।
কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি তেমন ভালো নয়। যথেষ্ট উদ্বেগ আছে। সে বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) জানিয়েছেন, দেশে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নির্ধারিত সূচি মেনেই প্রবেশিকা পরীক্ষা হবে। তবে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হলে পরীক্ষার দিনক্ষণ পরিবর্তিত হতে পারে।
বাংলাদেশে পরীক্ষা হলেও করোনার জেরে পশ্চিমবঙ্গের কলেজগুলিতে প্রবেশিকা পরীক্ষা হচ্ছে না। গত বুধবার রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়ে দেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ভরতির জন্য কোনও প্রবেশিকা পরীক্ষা নিতে পারবে না কোনও কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়। উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্টের ভিত্তিতেই কলেজে পড়ুয়াদের ভরতি নিতে হবে। সেই সিদ্ধান্তের জেরে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষা বাতিল করে দেয় রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ড। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য বিভাগে সিভিল বা মেকানিকাল বা ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাঁচ বছরের স্নাতক স্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষাও।