বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়ে দিল কলেজিয়াম সিস্টেমকেই মানতে হবে। এটাই আইন। এদিকে ইতিমধ্যেই সমাজের কিছু অংশ কলেজিয়াম সিস্টেমের বিরুদ্ধে মতামত প্রকাশ শুরু করেছিলেন।
একেবার নিঃশর্তভাবে সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, বিচারকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কলেজিয়াম সিস্টেমকেই মানতে হবে। বিচারপতিদের বেঞ্চ এনিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল ও সলিসিটর জেনারেলকে জানিয়ে দিয়েছে।
বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌল দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটারামানিকে জানিয়ে দিয়েছেন, পার্লামেন্টে যে আইন তৈরি করা হয়েছে তাকে সমাজের একাংশ মানতে চাইছেন না। সেই গ্রাউন্ডে কি এবার আদালত এই ধরনের আইনকে প্রয়োগ করা থামিয়ে দেবে?
বিচারপতি সঞ্জয় কৌল সতর্ক করে জানিয়ে দিয়েছেন, যদি সমাজের সকলে মিলে বলতে শুরু করেন যে, কোন আইনটা মানা হবে আর কোনটা মানা হবে না তবে তো একেবারে ব্রেকডাউন হয়ে যাবে।
অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, অন্তত দুটি ক্ষেত্রে নজির রয়েছে যে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম নামগুলিকে মেনে নেয়নি। পরে কেন্দ্র সেগুলিকে ফের ফেরৎ পাঠায়। তবে বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, বিচ্ছিন্ন কোনও উদাহরণ দিয়ে সাংবিধানিক বেঞ্চের সিদ্ধান্তকে এড়়িয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র পেতে পারে না সরকার। তবে শুনানির সময় বিচারপতিরা জানিয়েছেন যে দুটি নজিরের কথা বলা হচ্ছে তা কোন পরিস্থিতিতে করা হয়েছিল সেব্যাপারে এখনও আমরা ওয়াকিবহাল নই।
বেঙ্গালুরুর অ্যাডভোকেট আ্যাসোসিয়েশন এনিয়ে একটি পিটিশন ফাইল করে জানিয়েছিল বিচারপতিদের নিয়োগ সংক্রান্ত সময়সীমাকে লঙ্ঘন করছে কেন্দ্র। অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, মন্ত্রকের সঙ্গে আমরা এনিয়ে কথা বলব। এনিয়ে আরও কিছুটা সময় চাওয়া হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে এই মামলার ফের শুনানি হবে। বিচারপতিরা জানিয়েছেন, এই প্রসেসে দেরি হলে মেধাবী লোকজন এই বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন না।