অসমে ভয়াবহ নৌকাডুবি। মাঝ নদীতে দুটি নৌকার মধ্যে ধাক্কা। মৃত্য়ু হয়েছে ১জনের। মহিলা ও শিশু সহ অন্তত ২০ জন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন বহ্মপুত্রে। এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে। তাঁদের খোঁজে ব্যপক তল্লাশি চলছে। আরও অনেকে নিখোঁজ থাকতে পারে বলেও অনুমান করা হচ্ছে। গোটা ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এনডিআরএফ ও এসডিআরএফের টিম উদ্ধারকাজে নেমেছে। নদীতে ব্যাপক তল্লাশি চলছে। নদীর প্রবল স্রোতে কেউ ভেসে গিয়েছেন কি না সেটা দেখা হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পুলিশ, প্রশাসন ও উদ্ধারকারী টিম ঘটনাস্থলে রয়েছে। উদ্ধারকাজে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেটা দেখা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী টুইট করে জানিয়েছেন, অসমে নৌকাডুবির ঘটনায় মর্মাহত। যাত্রীদের উদ্ধার করার সবরকম চেষ্টা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর প্রায় ৭০জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় নৌকাটি। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ৪২জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। পরে উদ্ধার হওয়া এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপন দফতরের রাজ্য সিইও জিডি ত্রিপাঠি। ১০-১২জন সাঁতরে পাড়ে উঠেছিলেন। বাকি কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু ১৫-২০জনের খোঁজ নেই। খবর প্রশাসন সূত্রে। এদিকে নদীর জল বৃদ্ধির জেরে গত ৫দিন ধরে ফেরি সার্ভিস বন্ধ ছিল এই রুটে। ২রা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় ফেরি পারাপার। তারপরেই এই দুর্ঘটনা। ছোট বোটটি বেসরকারি আর বড় বোটটি ছিল অসম জলপথ দফতরের। ছোট বোটে প্রায় দুই ডজন বাইকও তোলা হয়েছিল। জোরহাটের ডেপুটি কমিশনার অশোক কুমার বর্মন জানিয়েছেন,দুটি ফেরির মধ্যে বিকাল ৪টে নাগাদ ধাক্কা লাগে। এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, একটি বড় ফেরির সঙ্গে ছোট ফেরির ধাক্কা লাগে। এর মধ্যে ছোট ফেরিটি ডুবে যায়। এদিকে বন্যা পরিস্থিতি ও স্রোতের জেরে উদ্ধারকাজে বাধা পাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বর্তমানে ভরা বর্ষায় নদীতে ভালোই জল রয়েছে। মাজুলির কমলাবাড়ি ও জোরহাটের নিমাতিঘাটের মাঝেই এই দুর্ঘটনা। অনুমান করা হচ্ছে দুটি ফেরির মধ্যে কোনওভাবে ধাক্কা লেগে যায়। এরপরই ছোট ফেরিটি টাল সামলাতে না পেরে জলের মধ্যে উলটে যায়। স্থানীয় মাঝিরাই প্রথমে উদ্ধারকাজে হাত লাগান। পরে পুলিশ, প্রশাসন ও উদ্ধারকারী টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।