বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > কুমিল্লার পুজো মণ্ডপে কোরআন রাখায় ইকবালকে জলদি গ্রেফতার করা হোক, দাবি মা-বোনের

কুমিল্লার পুজো মণ্ডপে কোরআন রাখায় ইকবালকে জলদি গ্রেফতার করা হোক, দাবি মা-বোনের

অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন। বাংলাদেশ পুলিশের প্রকাশ করা ছবি। 

জলদি গ্রেফতার করা হোক ইকবাল হোসেনকে। এমনই দাবি জানালেন তার মা আমেন খাতুন।

জলদি গ্রেফতার করা হোক ইকবাল হোসেনকে। এমনই দাবি জানালেন তার মা আমেন খাতুন। উল্লেখ্য, কুমিল্লার পুজো মণ্ডপে কোরআন রেখে দেশ জুড়ে সংখ্যালঘউদের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনায় ইন্ধন জুগিয়েছিল এই ইকবাল। এহেন ইকবাল এককালে নেশাগ্রস্ত ছিল বলে দাবি করেন তার মা। পাশাপাশি ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন বলেও দাবি করেন মা।

জানা গিয়েছে, ইকবাল নেশা করে তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করত। এর জেরে ইকবালকে ছেড়ে চলে যান তার প্রথম স্ত্রী। ইকবালের বড় বোন ফারজানা আক্তার এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাঁরাও চান যাতে ইকবালকে দ্রুত গ্রেফতার করা হয়। সে গ্রেফতার হলে তাঁদের উপর চাপ কিছুটা কমবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে ইকবালের মা আমেনা খাতুন জানান, পূজামণ্ডপের ঘটনার পরে ইকবালের সঙ্গে আর দেখা হয়নি তাঁর। আমেনার দাবি, ইকবাল যদি এই কাজ করে থাকে তাহলে তাকে ধরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করবেন তিনি। তিনি জানান, এই ঘটনার বিচার চান তিনি। তবে ইকবাল নেশাগ্রস্ত ও ভারসাম্যহীন হওয়ায় তাকে কেউ ব্যবহারও করে থাকতে পারে বলে দাবি আমেনার। তাকে দ্রুত গ্রেফতার করলে বিস্তারিত জানা যাবে বলে মত ইকবালের মায়ের। জানা গিয়েছে, এক সময়ে নিজের মাকে পাথর দিয়ে মারতে চেয়েছিল ইকবাল।

কুমিল্লার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪১ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে চারজন হোসেনের সহযোগী। দুই সহযোগীর নাম ফয়েজ ও একরাম হোসেন। বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে, ইকবাল হোসেন গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লার একটি দুর্গাপুজো মণ্ডপে গিয়ে কোরআন রেখে এসেছিল। পরে এই ঘটনা ঘিরেই সহিংসতার সূত্রপাত হয়েছিল বাংলাদেশ জুড়ে।

বন্ধ করুন