কুমিল্লায় সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার মূলে ছিলেন ইকবাল হোসেন। পরে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পুলিশি জেরায় ইকবাল তার দোষ স্বীকার করে। তবে দাবি করা হয়েছিল যে ইকবাল নাকি মানসিক ভারসাম্যহীন এক ভবঘুরে। অনেকের অবশ্য অভিযোগ ছিল, অপরাধ লঘু করতেই এই দাবি করা হচ্ছে। তবে তদন্তকারী পুলিশের তরফে এই বিষয়ে দাবি করা হল যে ধৃত ইকবাল 'পাগল বা ভবঘুরে নয়'।
পুলিশি হেপাজতে থাকা ইকবালকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিআইডির তদন্তকারীরা। সেই প্রেক্ষিতে সিআইডি কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান জানান, জেরায় ইকবাল অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেছেন। ইকবাল হোসেনকে পাগল ও ভবঘুরে বলা হলেও সেটা সত্যি না।
হিংসার ঘটনা ঘটার পর কুমিল্লার পুজো মণ্ডপের বাইরে লাগানো এক সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, মণ্ডপের সামনে রাখা হনুমানমূর্তির পায়ে কোরান রেখে হনুমানের গদাটি নিয়ে চলে যায় ইকবাল। অভিযুক্ত যুবক একজন ভবঘুরে বলে প্রাথমিক ভাবে জানানো হলেও এখন সেই দাবি খারিজ করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, কুমিল্লার পুজো মণ্ডপে কোরান রেখে দেশ জুড়ে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনায় ইন্ধন জুগিয়েছিল এই ইকবাল। এদিকে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৭১টি মামলা দায়ের করা হয় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর অভিযোগে প্রায় ৪৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ সত্ত্বেও বাংলাদেশের ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলির মধ্যে চরম উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে।