NEET UG 2024-এর পরীক্ষায় নানা অনিয়মের অভিযোগ। আর সেই প্রশ্নফাঁস মামলা এনিয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ছিল। সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, নিট ইউজিতে প্রশ্নফাঁস হয়েছে এটা স্পষ্ট। তবে তার ব্যপ্তি কতটা সেটা জানতে হবে। পরীক্ষার পবিত্রতা নষ্ট হয়ে থাকলে নতুন করে পরীক্ষার নিতে হবে।
সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, দোষীদের চিহ্নিত করতে না পারলে নতুন করে পরীক্ষার নির্দেশ দিতে হবে। সোশ্য়াল মিডিয়ায় প্রশ্নফাঁস হয়ে থাকলেও নতুন করে পরীক্ষার নির্দেশ দিতে হবে। হোয়াটস অ্যাপে, টেলিগ্রামে প্রশ্ন ফাঁস হয়ে থাকলে তা দাবানলের মতো ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করতে কি ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন তা নিয়েও প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি। কোন জায়গায় সুবিধাভোগীরা রয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রধান বিচারপতি। তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্টও জানতে চাওয়া হয়েছে। এআই প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো যায় কি না সেটাও বলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সিবিআইকে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেওয়া হল স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য।
সেই সঙ্গেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, প্রতিটি মধ্য়বিত্ত পরিবার তাদের পরিবারের সন্তানকে হয় মেডিক্যালে নয়তো ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াতে চান। যদি মনে হয়ে থাকে যে পরীক্ষা বাতিল করা হচ্ছে না তবে যারা লাভবান হলেন( সুবিধাভোগীরা) তাদের আমরা কীভাবে চিহ্নিত করব। যদি আমরা কাউন্সেলিং করার অনুমতি দিই তবে তারপর কী হবে? জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর সঙ্গে বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্র ছিলেন।
এদিকে প্রধান বিচারপতি আবেদনকারী ও আইনজীবীদের জানিয়ে দেন যে একসঙ্গে আপনারা বসে একটা নথি তৈরি করুন। পরের শুনানি অর্থাৎ বুধবার আপনারা সেটা পেশ করুন। তিনি জানিয়েছেন, আমরা আপনাদের একটা দিন সময় দিলাম। আমরা চাই যে সমস্ত আবেদনকারীর আইনজীবীরা ফের পরীক্ষা হোক বলে চাইছেন তাঁরা যেন বুধবার একটা সাবমিশন জমা দেন। আমরা চাইছি আপনারা সবাই একসঙ্গে বসে একটা নোট তৈরি করুন। কিন্তু সেটা ১০ পাতার বেশি করবেন না।
সেই সঙ্গেই শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, এই প্রশ্নফাঁসের জেরে যারা লাভবান হলেন তাদের চিহ্নিত করতে সরকার ও এনটিএ কী পদক্ষেপ নিয়েছে? তার থেকেও বড় কথা সরকার এই অনিয়মকারীদের চিহ্নিত করতে ঠিক কী করছে? এমনকী ভুল যে হয়েছে সেটা মেনে নিন, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের।
প্রশ্ন ফাঁস ও তা সোশ্য়াল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান তা জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।