বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Community spread? তামিলনাড়ুর যুবক, পুনের মহিলার করোনার উত্স জানে না প্রশাসন

প্রতিদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে যে এখনও ভারতে করোনাভাইরাসের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়নি। সেই স্টেজে যার করোনা হয়েছে, সে জানতে পারে না যে কার সংস্পর্শে আসার ফলে সংক্রমিত হয়েছে সে। ভারতে আপাতত দুটি ক্ষেত্রে কীভাবে রোগীদের শরীরে করোনাভাইরাস এসেছে, সেই বিষয় নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

বুধবার তামিলনাড়ুতে কুড়ি বছরের এক যুবকের শরীরে করোনার রেশ পাওয়া গিয়েছে। দিল্লি থেকে ট্রেনে তামিলনাড়ুতে গিয়েছিল সে। কিন্তু এর আগে বিদেশে যায়নি সেই যুবক, এবং করোনা হয়েছে এমন কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার কথাও জানায়নি। সেখানে কী করে করোনা হল তাঁর? এই নিয়ে ফাঁপরে প্রশাসন।

আইসিএমআরের এপিডেমোলজি বিভাগের প্রধান আর আর গঙ্গাখেধকর বলেন যে এই ঘটনার বিষদে তদন্ত করে দেখা উচিত। তাঁর কথায়, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং সহজ নয়। অনেক সময় রোগীর খেয়াল থাকে না ঠিক কার কার সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছে। ফলে আরও কাজ শক্ত হয়ে যায়। কোনও তদন্ত ছাড়া চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো সম্ভব নয় বলেই জানান তিনি।

অন্যদিকে সোয়াইন ফ্লু হয়েছে সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক মহিলার দেহে করোনার চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে পুনেতে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি। ৪১ বছরের মহিলা বিদেশে যান নি, শুধু মাসের শুরুতে একটি বিয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন মুম্বই সংলগ্ন ভাশিতে। পুনের সিংহাদ রোডের বাসিন্দা তিনি, যেখানে শহরের প্রথমে দুই করোনা রোগীর খোঁজ মিলেছিল । সেই কারণে বিভিন্ন দিক খুঁটিয়ে দেখছে প্রশাসন, কিন্তু আপাতত জানা যায় নি কোথা থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন তিনি।

এই রকম কেস যত বাড়বে, প্রশাসনের ওপর চাপ নিশ্চিত ভাবেই বাড়বে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী আজ সকাল দশটায় ভারতে চার মৃত সহ ২৫৮ করোনা আক্রান্তের কেস ছিল।


বন্ধ করুন