কোনও কর্মীর মৃত্যুর পর তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরির আবেদন করলে বৈষম্য দেখানো যাবে না। রাজস্থান হাই কোর্টের যোধপুর বেঞ্চ এমনই পর্যবেক্ষণ দিল মঙ্গলবার। আদালত জানিয়ে দেয়, মৃত কর্মীর দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরির আবেদন করলে বৈষম্যের কারণে তা খারিজ করা যাবে না।
একই ধরনের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের এক রায়কে ভিত্তি করে আদালত জানায়, মৃতের সন্তানের ‘বৈধতা’র উপর সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরির আবেদন বিবেচনা করা যাবে না। উল্লেখ্য, রাজ্য সেচ দফতরের কর্মী মোহন সিং মারা যান সম্প্রতি। তাঁর দুই স্ত্রী ছিল। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর এক সন্তানও আছে। এই আবহে তাঁর স্ত্রী সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরির আবেদন জানান। তবে সরকারের তরফে জানানো হয়, মোহন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীকে আইনগ বিয়ে করেননি। তাই সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরি পাওয়ার যোগ্য নন তিনি। সরকারের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেন মোহনের দ্বিতীয় স্ত্রী। সেই প্রেক্ষিতেই রাজস্থান হাই কোর্টে দায়ের হয়েছিল এই মামলা।
এদিকে পিটিশন দাখিল করে তা প্রত্যাহার করেন মোহনের দ্বিতীয় স্ত্রী। পরে তিনি আদালতের কাছে আবেদন জানান যাতে তাঁর সন্তান যতীন সিংকে সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরি দেওয়া হোক। তবে যতীনকেও চাকরি দিতে অস্বীকার করে রাজস্থানের সেচ দফতর। সেচ দফতর জানায়, যেহেতু যতীন মোহনের দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান, তাই তাঁকে সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরি দেওয়া যাবে না। এই আবহে উচ্চ আদালতে সওয়াল জবাব হয়। হাই কোর্ট জানিয়ে দেয়, কোনও মৃত কর্মীর দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরির আবেদন করলে বৈষম্যের কারণে তা খারিজ করা যাবে না।