Old age scam: ‘ইজরায়েলি টাইম মেশিন’ দিয়ে বয়স কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৩৫ কোটি প্রতারণা দম্পতির

কানপুরের ওই দম্পতির নাম রাজীব দুবে এবং তার স্ত্রী রশ্মি। দুজনে মিলে প্রায় ৩৫ কোটি টাকার প্রতারণা করেচেনে বলে অভিযোগ। তারা মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় দু ডজনেরও বেশি দম্পতির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ।

‘ইজরায়েলে তৈরি টাইম মেশিন’, যেটি ব্যবহার করলেই কমে যাবে বয়স! আর তাতে দ্রুত যৌবন ফিরে পাবেন বৃদ্ধরা। এমনই প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক ডজন বয়স্ক নাগরিকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা করল এক দম্পতি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। এই ঘটনায় দম্পতির বিরুদ্ধে প্রতারণা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশে।

জানা গিয়েছে, কানপুরের ওই দম্পতির নাম  রাজীব দুবে এবং তার স্ত্রী রশ্মি। দুজনে মিলে  প্রায় ৩৫ কোটি টাকার প্রতারণা করেচেনে বলে অভিযোগ। তারা মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় দু ডজনেরও বেশি দম্পতির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ। প্রতারিতদের মধ্যে তিনজন থানায় অভিযোগ করলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। যদিও তাদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে দম্পতি যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে তারজন্য বিমানবন্দরগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে পুলিশের তরফে। 

পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্ত দম্পতি সেন্টার খুলেছিল। সেখানে অক্সিজেন থেরাপি সেশনের মাধ্যমে যৌবন ফিরে পাওয়ার বা বয়স কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, এই দম্পতি কিদওয়াই নগরে ‘রিভাইভাল ওয়ার্ল্ড’ নামে ওই থেরাপি সেন্টার চালাতেন। তারা দাবি করেছিলেন, কানপুরে উচ্চ দূষণের কারণে তারা বার্ধক্য চলে আসছে। সেক্ষেত্রে ত্বরান্বিত  এই মেশিনের সাহায্যে অক্সিজেন থেরাপি করা হলে বিপরীত প্রভাব পড়তে পারে। এর ফলে বয়স কমে যাবে। তারা গ্রাহকদের কাছে দাবি করেছিলেন, এই থেরাপি করলে অল্প সময়ের মধ্যে তরুণ দেখাবে।

এলাকার অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার অঞ্জলি বিশ্বকর্মা জানান, প্রতিটি সেশনের তারা ৯০ হাজার টাকা করে নিতেন। অন্যদের রেফার করা ক্লায়েন্টদের জন্য ছাড় সহ। রেফারেলের জন্য ডিসকাউন্ট অফার করে ওই দম্পতি এটিকে একটি লোভনীয় স্কিমে পরিণত করেছিলেন।

জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী একাধিক গ্রাহকের সঙ্গে ওই দম্পতির পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। অভিযোগকারীদের মধ্যে একজন রেনু সিং চন্দেল জানান, রাজীব এবং রশ্মি তাকে বিনামূল্যে সেশনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বলেছিলেন এরজন্য তাকে অন্য গ্রাহক নিয়ে আসতে হবে। তিনি অবশেষে থেরাপি কেন্দ্রে বেশ কয়েকজনকে নিয়ে আসেন। ডিসিপি (দক্ষিণ) অঙ্কিতা শর্মা জানান, ওই দম্পতি এখনও পর্যন্ত দু ডজনেরও বেশি লোকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তদন্ত চলছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।