শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া জেলাগুলির পড়ুয়াদের জন্য উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। সোমবার সংসদে একটি প্রশ্নের লিখিত জবাবে একথা জানাল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক।
'দেশের গ্রামীণ এবং শিক্ষাগতভাবে পিছিয়ে থাকা জেলাগুলিতে বসবাসকারী প্রত্যেক পড়ুয়ার শিক্ষার উন্নতি নিশ্চিত করার জন্য বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে,' বলেন শিক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী। সাংসদ বীণা দেবী, রমা দেবী ও রমাপতি রাম ত্রিপাঠীর সম্মিলিত প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী ই-বিদ্যা নামে একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত বছরের ১৭ মে থেকে আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের অংশ হিসাবে এটি শুরু করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সকলের কাছে মাল্টি-মোড অ্যাক্সেস (ডিজিটাল/অনলাইন/অন-এয়ার শিক্ষা) পৌঁছানোর সমস্ত প্রচেষ্টাকে একত্রীকরণ করা হচ্ছে।'
এছাড়াও অন্নপূর্ণা দেবী DIKSHA (এক দেশ, একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম) উদ্যোগের উল্লেখ করেন। এর মাধ্যমে স্কুল শিক্ষার জন্য ই-কনটেন্ প্রদান করা হয়। শিক্ষাবাণী (রেডিও, কমিউনিটি রেডিও এবং সিবিএসই পডকাস্ট) এবং দৃষ্টি ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ই-কন্টেন্ট তৈরির উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়াও, শিক্ষামন্ত্রক মহামারী এবং তার পরবর্তী সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে ছাত্র, শিক্ষক এবং পরিবারকে 'মনোদর্পন'-এর মাধ্যমে মনো-সামাজিক সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে বলে দানান তিনি।
কেন্দ্র শিশুদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর জন্য নির্দেশিকাও তৈরি করেছে। শিক্ষার উপর মহামারীর প্রভাব কমাতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে সেই নির্দেশিকা শেয়ার করেছে কেন্দ্র। এই নির্দেশিকাগুলির মধ্যে কয়েকটি অভিবাসী শ্রমিকদের শিশুদের জন্য, বিদ্যালয়ের বাইরের শিশু এবং শেখার ক্ষতি হ্রাস, গৃহভিত্তিক শিক্ষায় অভিভাবক, অন্যান্য গোষ্ঠীর মধ্যে অনাথ শিশুদের জন্য।