বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে সাংপ্রদায়িকতার আগুনে জ্বলেছে বাংলাদেশ। সেই আগুনে ঝলসেছেন সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা। তবে সেই আগুন নেভাতে পালটা গর্জে ওঠে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। পড়ুয়া থেকে সুশীল সমাজ, সবাই রাস্তায় নেমে এই হিংসার প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। দাঁড়িয়েছেন সংখ্যালঘুদের পাশে। বিভিন্ন কর্মসূচি পালন হয়েছে বাংলাদেশে আন্দোলনের আঁতুড়ঘর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেই মতো শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে 'সহিংসতার বিরুদ্ধে কনসার্ট'-এর আয়োজন করা হয়েছিল।
বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৩টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই কনসার্ট চলে। তাতে অংশ নেয় বাংলাদেশের বহু নামকরা ব্যান্ড। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং প্রাক্তনীরাও সহিংসতার বিরুদ্ধে সরব হতে বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে।
অবলিক, বাংলা ফাইভ, গানপোকা, গানকবি, কৃষ্ণপক্ষ, কাল, সহজিয়া, শহরতলি, শিরোনামহীন, মেঘদল ছাড়াও একাধিক নামকরা ব্যান্ড সঙ্গীত পরিবেশন করে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে। তাছাড়া কবিতা আবৃত্তি এবং মূকাভিনয়ও হয় এই অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানের আয়োজকদের দাবি, দেশের মানুষ হিন্দু-মুসলিম পরিচয়ের চেয়ে বাংলাদেশি পরিচয়েই পরিচিত হোক।
উল্লেখ্য, গত বুধবার অষ্টমীর দিন থেকে বাংলাদেশে তীব্র হিংসা ছড়াতে শুরু করেছে। অভিযোগ, ওই দেশের কুমিল্লার একটি পুজো মণ্ডপে ভাঙচুরের পর থেকেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এরপর বহু পুজো মণ্ডপ, মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়। বিভিন্ন এলাকায় ৬৬টি হিন্দু বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় অন্তত ২০টি বাড়ি। বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। নোয়াখালির একটি ইসকন মন্দিরেও হামলা চালানো হয়। এই হিংসার ঘটনায় দেশজুড়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়।