পড়ুয়ারা স্কুলে মোবাইল এনেছে কিনা, তা দেখতে ব্যাগে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। তাতে পড়ুয়াদের ব্যাগ থেকে যা জিনিসপত্র পাওয়া গেল, তা হতবাক হয়ে গেল স্কুল কর্তৃপক্ষ। অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের ব্যাগ থেকে কন্ডোম, জন্মনিরোধক ওষুধ, লাইটার, সিগারেট, নগদ অর্থ মিলল। ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন স্কুলের।
সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, একাধিক স্কুলেই অভিযোগ উঠছিল যে ক্লাসে পড়ুয়ারা ফোন নিয়ে আসছে। সেই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন স্কুলে পড়ুয়াদের ব্যাগ খতিয়ে দেখা হচ্ছিল। একই সিদ্ধান্ত নেয় কর্ণাটকের অ্যাসোসিয়েটেড ম্যানেজমেন্টস অফ প্রাইমারি অ্যান্ড সেকেন্ডারি স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাতেই বিভিন্ন স্কুলে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের ব্যাগ থেকে কন্ডোম থেকে শুরু করে সিগারেট, জন্মনিরোধক ওষুধও পাওয়া গিয়েছে।
ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কর্ণাটকের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন যে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর ব্যাগ থেকে কন্ডোম পাওয়া গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করতেই সহপাঠীদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে সে। কর্ণাটকের অ্যাসোসিয়েটেড ম্যানেজমেন্টস অফ প্রাইমারি অ্যান্ড সেকেন্ডারি স্কুলের সাধারণ সম্পাদক ডি শশী কুমার জানিয়েছেন, ৮০ শতাংশ স্কুলেই সেই তল্লাশি চালানো হয়েছে। এক পড়ুয়ার ব্যাগ থেকে জন্মনিরোধক ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে। জলের বোতল থেকে মদ উদ্ধারও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Sarika: অভিনয়ের চাপে কোনওদিন স্কুলের মুখ দেখেননি! 'শিশু শিল্পীদের জন্য কষ্ট হয়': সারিকা
কী পদক্ষেপ করছে স্কুল?
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কয়েকটি স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে ইতিমধ্যে অভিভাবক এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের ব্যাগ থেকে যা যা উদ্ধার হয়েছে, তা জানার পর হতবাক হয়ে গিয়েছেন অভিভাবকরা। ওই পড়ুয়াদের আচার-ব্যবহারে যে আচমকা পরিবর্তন দেখা গিয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিভাবকরা।
তবে যে পড়ুয়াদের ব্যাগ থেকে ওই সব সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের সাসপেন্ড করার পথে হাঁটেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। যাতে হিতে বিপরীত হয়, সেজন্য সতর্কভাবে পা ফেলা হচ্ছে। ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই পড়ুয়াদের অভিভাবকদের পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাদের কাউন্সেলিংয়ের পরামর্শ দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এক প্রধান শিক্ষক বলেছেন, 'আমাদের স্কুলে কাউন্সেলিং সেশনের ব্যবস্থা থাকলেও সন্তানদের জন্য বাইরে থেকে কারও সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি আমরা এবং ১০ দিন পর্যন্ত ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছে।'