এবার সাংগঠনিক ক্ষেত্রে রদবদল করতে চলেছে কংগ্রেস। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বিধানসভা নির্বাচনে অত্যন্ত খারাপ ফল হয়েছে কংগ্রেসের। অসম থেকে বাংলা করুণ অবস্থা কংগ্রেসের। এমনকী দল ছাড়তে শুরু করেছেন অনেকে। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে বড় ভূমিকায় আনা হতে পারে বলে দলের অন্দরে জল্পনা তুঙ্গে। পাশাপাশি সরাসরি এবার ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে সামনে রেখে সংগঠন সাজিয়ে তোলা হবে বলে সূত্রের খবর।
এখন কংগ্রেসের নেতৃত্ব নিয়ে দলের ভেতরে–বাইরে অনেকে মুখ খুলছেন। তাতে অস্বস্তি বাড়ছে। তাই নবীন নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে এনে এই বেহাল অবস্থা ঠেকানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আবার প্রবীণ নেতাদের কাজে লাগানো হবে উপযুক্ত ক্ষেত্রে। গুলাম নবি আজাদ, রমেশ চেন্নিথালা, সচিন পাইলট–সহ আরও অনেককে এভাবেই দায়িত্ব বন্টন করা হবে। এমনকী যে কোনও সময়ে নতুন সভাপতি নির্বাচন হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, সংগঠনের হাল ফেরাতে নবীন–প্রবীণের মেলবন্ধন ঘটানো হবে। যাতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৈরি না হয়। সংগঠন তৈরি করে দ্রুততার সঙ্গে হাল ফেরাতে চাইছেন কংগ্রেস হাইকমান্ড। পাশাপাশি পরের বছর বেশ কয়েকটি বিধানসভা নির্বাচন আছে। সেখানে যাতে ফসল ঘরে তোলা যায় তাই এই রদবদল বলে মনে করা হচ্ছে। গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, গোয়া, মণিপুর এবং হিমাচল প্রদেশে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। এখন সেগুলিকেই পাখির চোখ করা হচ্ছে।
প্রশান্ত কিশোরকে দিয়ে সংগঠন সাজিয়ে বাজিমাত করতে মরিয়া কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে লড়াই করার কথা ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে। তার প্রস্তুতি এখন থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে একই সঙ্গে অন্যান্য রাজ্যে কংগ্রেস নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে। তাহলে জোট মজবুত হবে। আর কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে হটানো যাবে। ইতিমধ্যেই অজয় কুমারকে ইনচার্জ করে সিকিম, নাগাল্যান্ড এবং ত্রিপুরার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।