হরিয়ানায় পিছিয়ে পড়তেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করল কংগ্রেস। উত্তর ভারতের রাজ্যে বিজেপির কামব্যাকের মধ্যেই কংগ্রেস নেতারা দাবি করলেন যে নিজেদের ওয়েবসাইটে হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল আপডেট করছে না নির্বাচন কমিশন। দীর্ঘক্ষণ ধরে একই পরিসংখ্যান দেখিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতারা। ইতিমধ্যে কমিশনের কাছে নালিশ ঠোকা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কমিশনের তরফে আপাতত কিছু জানানো হয়নি। বিজেপি অবশ্য খোঁচা দিতে ছাড়েনি। বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, কংগ্রেস যখন এরকম অভিযোগ করছে, তখন এটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে যে হরিয়ানায় পদ্মফুলই ফুটছে। হারছে কংগ্রেস।
হরিয়ানা দখলের পথে বিজেপি
আরও ট্রেন্ডও তাই বলছে। আপাতত যা ট্রেন্ড, তাতে হরিয়ানায় কংগ্রেস হারছে। সাম্প্রতিক ট্রেন্ড অনুযায়ী, ৯০টি আসন-বিশিষ্ট হরিয়ানা বিধানসভার ৪৮টি কেন্দ্রে এগিয়ে আছে বিজেপি। ৩৬টি আসনে এগিয়ে আছে কংগ্রেস। সাতটি আসনে এগিয়ে আছে অন্যান্যরা। অর্থাৎ এই ট্রেন্ডই বজায় থাকলে অধিকাংশ এক্সিট পোলকে ভুল প্রমাণিত করে, প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়াকে থামিয়ে হরিয়ানায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে সরকার গঠন করবে বিজেপি।
'বিজেপি কি প্রশাসনের উপরে চাপ তৈরি করছে?'
আর তারইমধ্যে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের মতোই হরিয়ানায় আমরা দেখছি যে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে সাম্প্রতিক তথ্য তুলতে দেরি করা হচ্ছে। পুরনো এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে বিজেপি কি প্রশাসনের উপরে চাপ তৈরি করার চেষ্টা করছে?’
হরিয়ানায় ‘বিহার মডেল’, দাবি কংগ্রেসের
একই সুরে কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনেত বলেন, ‘এই ছবিটা খুব শীঘ্রই পালটে যাবে। ছবিটা পালটাতে বেশি সময় লাগবে না। হরিয়ানা থেকে আমরা ভালো খবরই পাব। জম্মু ও কাশ্মীর থেকেও ভালো খবর পাব। আমার মতে, বিহারে একবার যেমন হয়েছিল, সেরকমই হবে হরিয়ানায়। আমরা অনেকক্ষণ ধরেই নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট দেখছি। যা অধিকাংশ মিডিয়াও দেখাচ্ছে।’
সেইসঙ্গে তিনি বলেন, 'ওখানে সংখ্যা পরিবর্তন হচ্ছে না। বিজেপির থেকে আমার প্রাপ্ত ভোট অনেক বেশি। বিজেপির থেকে আমার প্রাপ্ত ভোট অনেক বেশি। সেটা আসনেও রূপান্তরিত হবে। যে গ্রাউন্ড রিপোর্ট আসছে, তাতে আমরা এগিয়ে আছি।' উল্লেখ্য, ২০২০ সালে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের সময় অনেক রাত পর্যন্ত গণনা চলেছিল। বিরোধী নেতারা অভিযোগ করেছিলেন, এমন অনেক আসনে শাসক পক্ষকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল, যেখানে তাঁরা জিতেছিলেন। যদিও সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিল কমিশন।
যাক আমরাই তাহলে হরিয়ানায় জিতছি, খোঁচা বিজেপির
আর এবার হরিয়ানায় যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা নিয়ে আপাতত কমিশনের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। বিজেপি অবশ্য চুপ থাকেনি। কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, 'জয়রাম রমেশ যখন অভিযোগ করতে শুরু করে দিয়েছেন, যখন নির্বাচন কমিশনের দিকে আঙুল তুলতে শুরু করে দিয়েছেন, তখন বুঝতে হবে যে ওঁনারা নিজেদের হার স্বীকার করে নিয়েছেন। '