ঝাড়খণ্ডে ভোটবুথে পিস্তল উঁচিয়ে ঘুরলেন কংগ্রেস প্রার্থী

একটি ভোটবুথে ঢোকার মুখে ত্রিপাঠিকে বাধা দেন বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, কংগ্রেস প্রার্থীকে নিশানা করে কিছু বিজেপি কর্মী ঢিল ছুড়তে শুরু করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ত্রিপাঠি।হঠাত্ পিস্তল বের করে উঁচিয়ে ধরেন কংগ্রেস নেতা।

বন্দুক নিয়ে ভোটবুথের বাইরে কংগ্রেস প্রার্থী কে এন ত্রিপাঠি। শনিবার পালামুয়ের কোশিয়ারা গ্রামে।

বন্দুক হাতে ভোটবুথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কংগ্রেস প্রার্থী, অথচ তাঁকে বাধা দিতে এগিয়ে আসছেন না কোনও নিরাপত্তারক্ষী। ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় এ হেন অবৈধ কাণ্ডের পরেও ভোট পড়ল ৬২.৮০%।

শনিবার পালামুয়ের কোশিয়ারা গ্রামে বিজেপি প্রার্থী অলোক চৌরসিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে কংগ্রেস প্রার্থী কে এন ত্রিপাঠির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে ভোটবুথে বন্দুক হাতে হুমকি দিতে দেখা যায় কংগ্রেস প্রার্থীকে। জানা গিয়েছে, একটি ভোটবুথে ঢোকার মুখে ত্রিপাঠিকে বাধা দেন বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, কংগ্রেস প্রার্থীকে নিশানা করে কিছু বিজেপি কর্মী ঢিল ছুড়তে শুরু করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ত্রিপাঠি।

এমন সময় হঠাত্ পিস্তল বের করে উঁচিয়ে ধরেন কংগ্রেস নেতা। দলের সমর্থকদের দাবি, গন্ডগোল থামাতে ভয় দেখানোর উদ্দেশেই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়েছিলেন প্রার্থী। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিয়ো ফুটেজে তাঁর সঙ্গে দেখা গিয়েছে নেতার দেহরক্ষীদের।

এরপরেই ত্রিপাঠিকে ওই বুথ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য স্লোগা দিতে শুরু করেন বিজেপি কর্মী-নেতারা। স্লোগান ওঠে, ‘কে এন ত্রিপাঠি মুর্দাবাদ! বন্দুক বের করেছে!’

এ দিনই সকালে বিষ্ণুপুরে একটি সেতু উড়িয়ে দেয় মাওবাদী জঙ্গিরা। তবে এই ধরনের বিক্ষিপ্ত হিংসা সত্ত্বেও ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের পয়লা দফায় স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া মিলেছে ভোটারদের।