জোরকদমে ভোট গণনা চলছে বিহারে। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশনের তথ্য ও ট্রেন্ড অনুসারে দেখা যাচ্ছে, বাঁকিপুর আসনে কংগ্রেস নেতা শত্রুঘ্ন সিনহার পুত্র দলের প্রার্থী লব সিনহাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে চলেছেন বিজেপি প্রার্থী নিতিন নবীন। আর সেই ট্রেন্ড দেখেই এনডিএ–র বিরুদ্ধে ভোটে কারচুপির অভিযোগ আনলেন লব সিনহা। তাঁর অভিযোগ, ভোটে জেতার জন্য অসাধু কিছু পন্থা অবলম্বন করছে এনডিএ। উল্লেখ্য, এনডিএ–কে নির্বাচনে পরাস্ত করার জন্য জোট বেঁধেছে রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) ও কংগ্রেস।
এদিন একটি টুইটে লব সিনহা অভিযোগ করেছেন, ‘এনডিএ যদি সৎভাবে এই ভোটে না জিততে পারে তবে সরকার গঠনের জন্য যা যা করা প্রয়োজন সে সব কিছু করতে পিছুপা হবে না এই দল। অসৎ উপায়ে জিততেও তাদের কোনও লজ্জা নেই। এটি একটি পুরনো কৌশল যা তাদের একমাত্র কৌশল হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
এদিন বাবা শত্রুঘ্ন সিনহার একটি টুইট রিটুইট করেছিলেন লব সিনহা। আর শত্রুঘ্ন সিনহা আরজেডি দলের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা একটি ভিডিও টুইট করেছিলেন। ভোটচুরির প্রমাণ স্বরূপ সেই ভিডিও টুইট করে আরজেডি দাবি করেছে, আরা বিধানসভা আসনে ইভিএম–এ প্রকাশ্যে জালিয়াতি করা হচ্ছে। আর সেই ভিডিও টুইট করে শত্রুঘ্ন সিনহা লিখেছেন, ‘সবসময় কোনও একজনকে সতর্ক থাকতে হবে এবং নজর রাখতে হবে! আমি এই মুহূর্তে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। তথ্য এবং সম্প্রচার দফতর–সহ সকলের প্রতিক্রিয়া চেয়ে এই ভিডিও আমি ফরওয়ার্ড করছি।’
এদিকে, তিনবারের বিজেপি বিধায়ক নিতিন নবীন ২০০৫ সাল থেকে বাঁকিপুর আসন থেকে জিতে আসছেন। পটনা সাহিবের সংসদীয় আসনের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের একটি হল বাঁকিপুর। ২০০৯ ও ২০১৪ সালে দু’বার এখান থেকেই নির্বাচিত হয়েছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। কিন্তু তখন তিনি বিজেপি–তে ছিলেন এবং তাঁর বিস্ফোরক সব মন্তব্যের জন্য তিনি পরিচিত ছিলেন ‘শটগান’ নামে।
বাঁকিপুর আসনের সঙ্গে নিতিন নবীনের পরিবারের ২৫ বছর পুরনো সম্পর্ক। ১৯৯৫ সালে পটনা পশ্চিম আসন থেকে বরিষ্ঠ বিজেপি নেতা হিসেবে তখন তাঁর বাবা নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিহারের রাজধানী পটনার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই এলাকাটির নামকরণ হয়েছিল ২০০৮ সালে। তখন নির্বাচনী এলাকাগুলির সীমানা নামকরণের সময় এই এলাকায় নাম দেওয়া হয় বাঁকিপুর।