সৌভদ্র চট্টোপাধ্যায়
চিন্তন শিবিরে নীতিগত পরিবর্তনের পথে হাঁটল কংগ্রেস। শনিবার শিবিরের দ্বিতীয়দিনে কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নেয় যে বেসরকারি খাতে সংরক্ষণের দাবি জানাতে চলেছে তারা। পাশাপাশি ২০১০ সাল থেকে আটকে থাকা মহিলা সংরক্ষণ বিলটিতে 'কোটার মধ্যে কোটা'-কে সমর্থন করবে শতাব্দী প্রাচীন দল। কংগ্রেস নেতা সালমান খুরশিদ এবং কে রাজু আজ বলেন যে সামাজিক ন্যায়বিচারের প্যানেল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিকে সংস্থার মধ্যে সমস্ত স্তরে ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ এবং বেসরকারি খাতে কোটার জন্য চাপ দেওয়ার সুপারিশ করবে। (আরও পড়ুন: বৈষ্ণেদেবীর বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ‘দায় স্বীকার’ বিচ্ছিনতাবাদীদের, ‘জঙ্গি যোগ নেই’, দাবি পুলিশের)
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী খুরশিদের যুক্তি, ‘এই সরকার সরকারি সংস্থাগুলিতে চাকরির জন্য সংরক্ষণ কমিয়ে পাবলিক সেক্টর কোম্পানিগুলিকে বিক্রি করছে৷ তাই আমরা দুর্বল অংশের স্বার্থ রক্ষায় বেসরকারি খাতে কোটা চাইছি।’ উল্লেখ্য, প্রাইভেট সেক্টরে সংরক্ষণের জন্য রাজনৈতিক চাপ ইতিমধ্যেই বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এর আগে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের দশ বছরের সময়কালে বেসরকারি সেক্টরের চাকরিতে কোটা বাস্তবায়নের জন্য কোনও প্রচেষ্টা করা হয়নি। সেই দিক থেকে এই সংক্রান্ত কোনও নীতি বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রীয় আইনগুলির সংশোধনের প্রয়োজন হবে কিন্তু ক্ষমতাসীন বিজেপি এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট অবস্থান প্রকাশ করেনি।
এদিকে শনিবার সামাজিক ন্যায়বিচার সংক্রান্ত কংগ্রেসি প্যানেল নারী সংরক্ষণ বিলে কোটার মধ্যে কোটার জন্য চাপ দেওয়ার কথা বলল। ২০১০ সালে রাজ্যসভায় বিলটি পাস হওয়ার সময় এই ধরনের দাবি উড়িয়েছিল কংগ্রেস। আর এবার সেই ঘটনার কয়েক বছর পরে তারাই দাবি তুলতে চলেছে। কংগ্রেসের জোটসঙ্গী আরজেডি, নীতিশ কুমারের জেডিইউ এবং মুলায়ম সিং যাদবের সমাজবাদী পার্টি কোটার মধ্যে কোটার পক্ষে ছিল, কিন্তু তাদের দাবি পূরণ হয়নি কংগ্রেস জমানায়।