জাতীয় রাজনীতি তোলপাড় করে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা গুলাম নবি আজাদ সদ্য দল ছেড়েছেন। সেই ধাক্কা যেমন একটি দিক,তেমনই কংগ্রেসের অন্যতম দূর্গ 'হাত' শিবির শাসিত রাজস্থানে কংগ্রেসের যুব সংগঠন এনএসইউআই কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে একটিও আসন পেলনা। যে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গোহলোটকে নিয়ে কংগ্রেসের আগামী দিনে সভাপতি পদে থাকা নিয়ে জল্পনা ছিল, সেই রাজস্থানে খোদ অশোকগড়েই এই পরিস্থিতি।
১৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র নির্বাচনে ৭ টিতে জিতে গিয়েছে নির্দল। ৫ টি গিয়েছে বিজেপির এবিভিপির খাতায়, আর বামেদের এসএফআই জিতেছে দুটিতে। শনিবার এই ফলাফল প্রকাশিত হতেই তা কার্যত কংগ্রেসের কাছে বড়সড় ধাক্কা ছিল। উল্লেখ্য, বছর ঘুরলেই রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে ২০২২ সালে দাঁড়িয়ে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেসিডেন্টের পদে নেই একজনও কংগ্রেস যুবনেতা। উল্লেখ্য, দল যখন সর্বভারতীয় সভাপতি পদে কাকে বসানো হবে তা নিয়ে ভাবনায়, তখনই এমন এক ফলাফল আসায় রীতিমতো ধাক্কা খেয়েছে কংগ্রেস শিবির। কংগ্রেসের কাছে আর উদ্বেগের বিষয়, উপজাতি অধ্যুষিত রাজস্থানের দুঙ্গারপুর ও বানসওয়ারায় কংগ্রেস দাঁড়াতে পারেনি, সেখানে আঞ্চলিক দল ৯টির মধ্যে ৭ টিতে প্রার্থী দিয়েছে। আর ৪ টিতে জিতেছে। দেশে মদ্যপান কমছে! মহিলারা ঝুঁকছেন তাড়ি, বিয়ারের দিকে, আর পুরুষরা? বলছে সমীক্ষ
নির্দল প্রার্থী নির্মল চৌধুরী এবারের রাজস্থান ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট পোলে ফের একবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। এই নিয়ে প্রায় পঞ্চমবার তিনি প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মণীশ গোধা বলছেন, ছাত্র পরিষদের ভোটে হার মানেই যে তা বিধানসভায় প্রভাব ফেলবে, তা নয়। তবে কংগ্রেসের একটিও আসন না পাওয়া কার্যত বড় ধাক্কা। তিনি বলছেন, রাজস্থানের রাজনৈতিক মাটিতে বহু নির্দল যুব প্রার্থীকে কংগ্রেস বিধায়করা সমর্থন যুগিয়েছেন, যেথানে খোদ কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের প্রার্থীরা তা পাননি। বিজেপির দাবি রাজ্যে বেকারত্ব বাড়ছে, উচ্চ শিক্ষার হাল বেহাল, আর তারই ছাপ এই নির্বাচনে পড়েছে। বিজেপির দাবি ২০২৩ বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসকে ছেঁটে ফেলে মানুষ সরকারে আনবে বিজেপিকেই।